উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পাঞ্জাবের কংগ্রেস এমপি মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষকেরা নাকি দূষণ ছড়াচ্ছেন। কারণ তাঁরা শস্যের আগাছা পোড়াচ্ছেন। এভাবে ছোট কৃষকদের দূষণের জন্য দায়ী করা হলে তাঁদের পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে যাবে। রিপোর্ট বলছে, দিল্লির দূষণের ৪১ শতাংশই হচ্ছে গাড়ি চলাচলের জন্য। বাকি অংশের বেশিটাই হচ্ছে শিল্পাঞ্চল থেকে।’ এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র দিল্লি-এনসিআরের দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্থায়ী কমিটি গঠনেরও দাবি করেছেন ওই কংগ্রেস এমপি। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণও অনেক কম বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শস্যের আগাছা পোড়ানোর জন্য দূষণ তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লির বিজেপি এমপি প্রভেশ শর্মাও।
তিনি বলেন, ‘দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআরে সারা বছর দূষণ থাকে প্রায় ২০০ দিন। অথচ শস্যের আগাছা পোড়ানো হয় সারা বছর ৪০ থেকে ৪৫ দিন। বাকি ১৫০ দিন তাহলে কীভাবে দূষণ হচ্ছে? ২০০৪ সালে যেখানে দিল্লিতে ৪০ লক্ষ গাড়ি চলাচল করত, ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ। কারণ দিল্লির সরকার গণ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না’ দূষণরোধী মাস্ক কেনা নিয়েও দিল্লি সরকার দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির ওই এমপি। তাঁর দাবি, যে ৫০ লক্ষ মাস্ক ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিতরণ করেছে দিল্লি সরকার, এইমসের মতে সেগুলি দূষণরোধীই নয়। তৃণমূল এমপি কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, দূষণের ৪১ শতাংশই ছড়াচ্ছে গাড়ি। ১৮ শতাংশ দূষণই হচ্ছে শিল্পাঞ্চল থেকে। ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে বাতাসে ধুলো উড়ে এসে দূষণ ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অযথা পরস্পরকে দোষারোপ না করে, কিংবা রাজনীতি না করে যৌথভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।