কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
আর পাঁচজনের মতো গয়ংগচ্ছ চাকরি জীবনে আটকে থাকতে চান না রেজা। দেশে দেশে তিনি পৌঁছে দিতে চান শান্তির বার্তা, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ। এটাই রেজা ফজলের স্বপ্ন। এবার বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আমন্ত্রণে ইলেকট্রিক সাইকেল নিয়ে বাংলাদেশ হয়ে পাড়ি দেবেন ত্রিপুরা। ২৮ বছরের রেজা একটা ছোট ব্যাগ ও তাঁবু নিয়ে সাইকেলে পাড়ি দেবেন বনগাঁ, পেট্রাপোল হয়ে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়ায় লালন ফকিরের মাজার দেখবেন এবং সাক্ষাৎ করবেন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী হরত্মানন্দ মহারাজের সঙ্গে। এরপর ফরিদপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ উৎসবে যোগ দেবেন রেজা। ফরিদপুর, ঢাকা, নরসিংদি, ব্রাহ্মণবেড়িয়া থেকে আখাউড়া চেকপোস্ট হয়ে তিনি পৌঁছবেন আগরতলা। যাওয়ার পথে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি।
রেজার বাবা মহম্মদ খুরশিদ বলেন, অনেকেই চায় তার ছেলে চাকরি করুক বা প্রচুর আয় করে সংসারে আর্থিক সমৃদ্ধি আনুক। আমরা রেজার ইচ্ছাকে সম্মান জানাই। ও ওর মতোই বাঁচুক। এটাই চেয়েছি। জীবনে অনেক বড় হোক ও। আমার ছেলে মানুষের জন্য কিছু করুক। এটাই আমাদের ইচ্ছা।
মহম্মদ রেজা ফজল আনসারি বলেন, স্বাধীন গবেষক হিসেবে আমি কাজ করতে চাই। আমি পেশায় ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনাল। আপাতত কর্মহীনই আমি। বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য আমার সম্বল মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আমি অনুপ্রাণিত। ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটন বিষয়ে গবেষণার জন্য আমার এই বাংলাদেশ যাত্রা।
রেজা বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দিনকয়েকের মধ্যেই রওনা দেব। দু’দেশের নতুন প্রজন্মের একাংশের মধ্যে বিদ্বেষভাব তৈরি হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, প্রতিবেশী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই দুই দেশ একযোগে লড়াই করেছিল। আজকের প্রজন্ম ইংরেজের শাসন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। এই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বাড়লেই দুই দেশই উপকৃত হবে, উভয়েরই আর্থিক উন্নতি হবে। শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা পৌঁছব। বর্তমানে কলকাতা থেকে ট্রেনে ত্রিপুরা পৌঁছতে ১,৫৫০ কিমি পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারতেরই ভূখণ্ড ত্রিপুরা গেলে পাড়ি দিতে হবে মাত্র ৫৩৫ কিমি। এই দূরত্বটা শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ির চেয়েও কম। এটা নমুনা মাত্র। সুবিধা হবে আরও নানাবিধ। যাতায়াত বাড়লে, সব মিলিয়ে দুই দেশই বিপুলভাবে লাভবান হবে।