কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে খবর, সংগঠনের বিভিন্ন পদে যাঁরা আছেন, তাঁদের পারফরম্যান্স যাচাই করা হচ্ছে। পদে থেকেও কাজ করছেন না, এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আবার লোকসভা ভোটে যেখানে দলের ভালো ফল আসেনি, কিংবা যাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকা থেকে অভিযোগ এসেছে, তাঁদেরও বদল করা হচ্ছে। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংগঠন দেখছেন। ফলে সেখানেও এবার বদল করা হবে বলে তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর। এবিষয়ে নেতৃত্বের মধ্যে একপ্রস্থ কথাবার্তাও হয়েছে। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদে তিনজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন। বাকি দু’জনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই’ বলে ১৭ জুন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়েছেন তৃণাঙ্কুর। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার দরুণ নতুন প্রজন্মের ছাত্র নেতা উঠে আসছে না। গভর্নিং বডিগুলিতে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি নেই। আমরা চাই আমাদের রাজ্যে শীঘ্রই ছাত্র সংগঠনগুলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’ ফলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কবে হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর তৃণমূল ছাত্র সংগঠনে বদল হবে, নাকি তার আগেই হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বিস্তর। তৃণমূলের যুব সংগঠন সহ অন্যান্য সেলগুলিতেও কোনও রদবদল হয় কি না, সেটাও দেখার। এছাড়া কয়েকজন জেলা সভাপতির ‘পারফরম্যান্স’-এ সন্তুষ্ট নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটে যে সমস্ত জেলা সভাপতি ভালো ফল দিতে পারেননি, তাঁদের ‘পারফরম্যান্স’ যাচাই শুরু হয়েছে। অঞ্চল ও ব্লক সভাপতি পদেও দল বেশ কিছু রদবদল করতে চলেছে। জেলাভিত্তিক নেতাদের কাজকর্ম নিয়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে। ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক বেশ কিছু বিষয় ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করতে জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। অঞ্চল, ব্লক, জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক করতে বলা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়কদের কাছে বিশেষ নির্দেশ, সর্বস্তরের কর্মীদের সংগঠিত করে প্রস্তুতি সভা করতে হবে।