কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
রাজ্যকে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত করার লক্ষ্যে আগেও গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরির কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। তবে এবার ন্যায্য প্রাপক বেছে নেওয়া হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে। মহিলাদের সমস্যা মহিলারাই বেশি ভালো বোঝেন। তাই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের মাধ্যমে উপভোক্তা বেছে নেওয়ার কাজ হবে। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, মহিলাদের সম্ভ্রম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য উন্মুক্ত শৌচকর্ম বিপজ্জনক। পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হলেও প্রতি বছরই বাড়ছে জনসংখ্যা। তৈরি হচ্ছে নয়া বাসস্থান। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শৌচাগারের প্রয়োজনীয়তা। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ এর আগে নেওয়া হয়নি। তার থেকেও বড় কথা, এবার ‘টুইন পিট’ শৌচালয় তৈরি হবে। ফলে জমা জলের কারণে মশাবাহিত রোগের কোপেও পড়তে হবে না।’
সূত্রের খবর, রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে রয়েছে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৮৪৬টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। মোট সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬৪। প্রকৃত উপভোক্তা বাছাই থেকে শুরু করে শৌচাগার নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ২৮ জুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে সমগ্র প্রক্রিয়া জানাবেন বিডিওরা। ১ থেকে ৭ জুলাই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সেরে নেবেন নেত্রীরা। জেনে নেওয়া হবে, কার কার বাড়িতে শৌচাগারের প্রয়োজন রয়েছে। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে প্রাথমিক উপভোক্তা তালিকা। ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেই তালিকা জমা পড়বে বিডিওর কাছে। বিডিওর অধীনস্থ একটি দল সেই তালিকা ধরে শৌচাগার না থাকা বাড়িগুলিতে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি যাচাই করবেন। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে ৯ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তা আপলোড করবেন পঞ্চায়েত দপ্তরের রুরাল স্যানিটেশন পোর্টালে। সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে টাকা। আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে এই কাজ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। এই কাজের জন্য ১৫ আগস্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা।