কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
একটা সময় ছিল, যখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকেই সশরীরে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারতেন না। সেই সমস্যা মেটাতে অনলাইনে তা জমা করার ব্যবস্থা করা হয়। সরকারিভাবে তার নাম দেওয়া হয় জীবন প্রমাণ। আধার ভিত্তিক সেই কাজেও প্রবীণদের আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বেরতে হয়। প্রবীণরা যাতে বাড়িতেই সেই কাজ করতে পারেন, তার জন্য চালু হয় মুখের ছবি তুলে লাইফ সার্টিফিকেট জমার সুবিধা। ২০২২ সালে চালু হওয়া এই পরিষেবায় সাড়া দিয়েছেন পিএফের আওতাধীন বহু প্রবীণ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যেখানে ২ লক্ষ ১০ হাজার পেনশনভোগী ফেস অথেন্টিকেশন বা মুখের ছবি তুলে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজারে। এই সুবিধার পরও কেন জীবন প্রমাণ দেওয়া গেল না, তারই খোঁজখবর করবে দপ্তর। দপ্তরে সদ্য নিযুক্ত হওয়া সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে থাকা কর্মীরা সেই কাজ করবেন।
দপ্তর জানিয়েছে, প্রথমেই পেনশনভোগীর বাড়িতে যাবেন না কর্মীরা। তাঁরা পেনশন প্রদানকারী ব্যাঙ্কে যাবেন এবং সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টটি চালু আছে কি না, তার খোঁজ নেবেন। তিনি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে সেই তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে আছে কি না, তাও জানবেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের কাছে থাকা ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর নিয়ে প্রবীণদের বাড়ি পৌঁছবেন তাঁরা। যদি দেখা যায় নির্দিষ্ট ঠিকানায় পেনশনভোগী রয়েছেন, তাহলে সেখানেই তাঁর জীবন প্রমাণ নেওয়া হবে। যদি নির্দিষ্ট ঠিকানায় তিনি না থাকেন, তাহলে তিনি কোথায় থাকতে পারেন, সেই বিষয়ে প্রতিবেশী বা স্থানীয় প্রশাসকের কাছে তথ্য চাইবেন তাঁরা। যদি দেখা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাহলে ফ্যামিলি পেনশন পেতে কী কী করণীয়, তার উপায় বাতলাবেন কর্মীরা।