কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিটি রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশ করার পর রাতেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু ব্যাখা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার জল বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিশেষ টেকনিক্যাল কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করেছে। ওই কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তরের একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওই প্রতিনিধি কমিটির কাছে বেশ কিছু তথ্য পেশ করেছেন। আলাপনবাবু এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখা করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ওই আধিকারিকের কাছ থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি সেটাই দিয়েছেন। এর বেশি কিছু নয়। গঙ্গার জল বন্টন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী, নীতি এটা নয়। আলাপনবাবু আরও বলেন, গঙ্গার জল বন্টন ছাড়াও তিস্তা, আত্রেয়ী, পূনর্ভবা প্রভৃতি উত্তরবঙ্গের যে সব নদীর জল বাংলাদেশে গিয়েছে সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেব্যাপারে কমিটির রিপোর্টেও কিছু বলা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারও কিছুই জানায়নি।
প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জল বণ্টনের যে চুক্তি ১৯৯৬ সালে হয়েছিল তার মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। ওই চুক্তির নবীকরণ করার প্রক্রিয়া দুই দেশ শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রধানন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, চুক্তি নবীকরণের বিষয়টি নিয়ে ভারতের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশ যাবে। বাংলাদেশে তিস্তার জল সংরক্ষণে ভারত সহায়তা করবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল বন্টন চুক্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কিউসেক হারে পশ্চিমবঙ্গের জল পাওয়ার যে ব্যবস্থা আছে, নতুন চুক্তিতে সেটা সব সময়ের জন্য থাকুক, এমনটাই চাইছে নবান্ন।