কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এইসব অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন পুলিস অফিসাররা। আইভিআর কলে ব্যবহৃত সিমের ডেটা জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা তাঁদের। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সেই ডেটা মিলছে না। ফলে কে বা কারা ওই কল করেছে, তা জানা যাচ্ছে না। মাঝপথে থমকে যাচ্ছে তদন্ত। সাইবার প্রতারকদের এই নয়া কৌশলে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে রাজ্য পুলিসের। এই সুযোগ নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে সাইবার অপরাধীরা।
কিন্তু কেন মিলছে না সিম কার্ডের নথি? তদন্ত করতে গিয়ে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম ব্যবহার করছে তারা। তাদের সঙ্গে স্থানীয় সিম কার্ড বিক্রেতাদের যোগ রয়েছে। সেখান থেকে নথি ছাড়াই গোছা গোছা সিম কার্ড তুলে নিচ্ছে তারা। সাইবার প্রতারকরা নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি টাকা দিয়ে এগুলি কিনছে। নিয়ম অনুয়ায়ী, সিম কেনার এক সপ্তাহের মধ্যে নথি জমা দিতে হয়। তা না হলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় সেই সিম। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নথি ছাড়া যে সব সিম তোলা হয়েছে, তা আগেই খুলে কল করা হচ্ছে। তারপর সেটি নষ্ট করে দিয়ে অন্য সিম লাগিয়ে নিচ্ছে হ্যান্ডসেটে। ফলে কোনও রেকর্ডই থাকছে না মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির কাছে। তাই পুলিস আইভিআর কলে ব্যবহৃত সিমের তথ্য চাইলেও দিতে পারছে না মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। নথি না থাকায় কে বা কারা এগুলি ব্যবহার করেছে, তা জানা যাচ্ছে না। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তদন্তকারীরা। পুলিস মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে বলেছে, স্থানীয় দোকান থেকে গোছা গোছা সিম কার্ড বিক্রি হলে সেগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি একলপ্তে বেশি সিম কার্ড বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। সিম কিনলে সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার থেকে নথি জমা নিতে হবে। স্থানীয় দোকানদারদের এই নির্দেশ জানাতে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির উপর চাপ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।