কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
৬টি ইউনিটের ১৭ জন শিক্ষক চিকিৎসক এবং ৩০ জন পিজিটি—সব মিলিয়ে ৪৭ জন চিকিৎসক বা বলা ভালো গোটা সার্জারি বিভাগই অংশ নিয়েছিল এই উদ্যোগে। প্রত্যেক রোগীর অপারেশন করতে গড়পড়তা ঘণ্টাখানেক সময় নিয়েছেন তাঁরা।
মেডিক্যালের সার্জারির প্রধান ডাঃ শিবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘ক্যাম্পের মতো করে প্রচুর রোগীর অপারেশন করার সুবিধা হল, এতে রোগীদের ওয়েটিং বা অপারেশনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা কমে। দ্বিতীয়ত, আমরা মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে বিভিন্ন টেকনিক শিখতে পারেন। তৃতীয়ত, এই ধরনের উদ্যোগে টিম স্পিরিট বাড়ে।’
মেডিক্যাল সূত্রের খবর, বেসরকারি ক্ষেত্রে প্ল্যানড হার্নিয়া অপারেশনে গড়পড়তা ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে মেডিক্যালে ২০টি অপারেশন হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৯টা থেকে অপারেশন শুরু হয়। গ্রিন বাড়ি এবং ডিএইচবি বাড়ির সার্জারি অপারেশন থিয়েটারে কাজ শুরু হয়। স্থির হয়েছিল ২৩ জন রোগীর অস্ত্রোপচার করা হবে। কিন্তু রক্তচাপ বেশি থাকায় তিনজনের অপারেশন করা যায়নি। শেষ অপারেশন হয় বিকেলে।
চিকিৎসকরা জানান, তিন ধরনের প্রচলিত হার্নিয়ার মধ্যে দু’ধরনের হার্নিয়ার অপারেশন করা হয়েছে। আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া হয় নাভির আশপাশে। ইনসিশনাল হার্নিয়া হয় সিজারিয়ান বা অন্যকোনও অপারেশনের ক্ষতস্থানের জায়গা থেকে। ইনগুইনাল হার্নিয়াতে অন্ত্রের অংশবিশেষ পেট বা তলপেটের নরম চামড়া থেকে বেরিয়ে আসে। দ্বিতীয় ধরনের হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনজন রোগী। আর তৃতীয় ধরনের ১৭ জন।
অস্ত্রোপচার করা হয় দু’ধরনের পদ্ধতিতে। একটি ‘ওপেন’, অন্যটি ল্যাপারোস্কপি পদ্ধতিতে মাইক্রোসার্জারি—চারটি ছোট ছোট ফুটো করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বেরিয়ে আসা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ভিতরে ঢুকিয়ে ‘মেস’ বা জালের মতো একটি চিকিৎসাযন্ত্র বসিয়ে তারপর ক্ষতস্থান সেলাই করে দেওয়া হয়েছে।