কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সূত্রে জানা গিয়েছে, সূর্যবাবু এহেন প্রস্তাব দেওয়ায় দলের অন্দরে এনিয়ে আলোড়ন পড়েছে। এমনিতেই এবার নতুন নিয়মে বিমানবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতার কোনও কমিটিতেই ঠাঁই পাওয়ার কথা নয়। অশীতিপর এই নেতা বয়সে ছোট অনেকের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকলেও তিনি নিজে পদ আঁকড়ে থাকতে চান না বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি অবশ্য পদ ছাড়লেও রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত দেননি। বরং নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, পদের বাইরে থেকেও দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে সেভাবেই ভূমিকা পালন করতে চান।
উল্লেখ্য, সিপিএম নেতৃত্ব ঠিক করেছে, আগামী সম্মেলন পর্বে বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ বয়সের সীমা মেনেই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। নেতৃত্বে বৃদ্ধতন্ত্র চলার অভিযোগ খণ্ডন করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কমিটিতে সেই বয়সসীমা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৭২ বছর। তবে বিমান-সূর্যরা একসঙ্গে সরে গেলে তাঁদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন প্রবীণ নেতা একই পথে হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানবাবু এই নয়া নিয়মের গেরোয় পড়লেও ৭২ ছুঁইছুঁই রাজ্য সম্পাদকের ক্ষেত্রে এবার তা পুরোপুরি প্রযোজ্য হতো না। বয়সসীমার নিদানে রাজ্যের পদে না থাকতে পারলেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবারও তাঁর ঠাঁই পাওয়া প্রায় পাকাই ছিল। কিন্তু তিনি আর কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরোয় থাকতে চান না বলে কয়েকদিন আগে ইয়েচুরি সহ শীর্ষ কমিটির নেতাদের জানিয়েছেন। স্বেচ্ছায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, বয়সের কারণে নিষ্ক্রিয়তা গ্রাস করার আগেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো শ্রেয়। এই ধরনের উদাহরণ তৈরি হওয়া দরকার পার্টিতে। একেবারে সর্বোচ্চ কমিটিতে থাকাকালীন তিনি সেটাই করতে চান। তাছাড়া পদে না থেকেও দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তিনিও বিমানবাবুর মতো সওয়াল করেছেন। - ফাইল চিত্র