কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়াও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এবং করোনা সংক্রমণ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে সব জেলাশাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, স্বাস্থ্য সচিব সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, রাজ্যের মধ্যে কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় করোনা বেশ বৃদ্ধি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৭১ শতাংশ। পরের সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২.৭৭। ৫ থেকে ১১ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩.১১ আর ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর পুজোর সময় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৫ শতাংশ। কলকাতার মতো বেড়েছে দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া প্রভৃতি জেলায়।
পুজোর দিনগুলিতে ভিড়ের জন্য করোনা বৃদ্ধি হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। তাই এদিন বৈঠক করে মুখ্যসচিব তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরির উপরে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে। টিকাকরণ কর্মসূচিতে জোর দিতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ধরনের বিধিনিষেধ চালু করা দরকার তা করতে হবে। এলাকা ধরে ধরে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে সামনে কালীপুজো আসছে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে জেলাশাসকদের বলেছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৬২ জন। আর দুটো ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৪১৩ জন। আরও টিকাকরণে জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।