কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
‘অফিসার’ ফোন ধরেই ধমক দেন। তারপর রফায় আসেন। ভদ্রলোক গ্রেপ্তারির ভয়ে অ্যাকাউন্টে থাকা বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েও দেন। পরে, বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার। রাশিয়া থেকে কোনও পার্সেলই আসেনি। প্রতারকরাই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সেজে ফোন করেছিল।
এই ঘটনায় প্রতারিত ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে নিউটাউনের আনন্দপল্লি থেকে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। রাশিয়া, মুম্বই নয়, নিউটাউনে বসেই সে এই চক্রটি চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তার কাছ থেকে প্রতারণার বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে কতজন যুক্ত, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেইসঙ্গে প্রতারিত ব্যক্তির টাকা উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন প্রতারণা সর্বত্রই শুরু হয়েছে। প্রথমে পার্সেল শুনে যে কেউ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। তারপর মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারের নাম শুনে সেই ভয় আরও বাড়ছে। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে প্রতারকরা হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে পুলিস অফিসারের ছবি ও লোগো দিয়ে রাখছে। তারপর অবৈধ পার্সেলের জন্য গ্রেপ্তার করা হবে, এই হুমকি দিয়ে টাকায় রফা চাইছে। ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তারি এড়াতেই টাকা দিয়ে ফেলেছিলেন। পরে কথাবার্তায় বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার। পুলিস জানিয়েছে, এই ধরনের ফোন এলে আগে যাচাই করা উচিত। তা না হলে বিপদে পড়তে হবে।