কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী যদিও বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য টিমও তৈরি করা হয়েছে। আদালত যে বেআইনি নির্মাণগুলি নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে, সে নির্দেশ কার্যকর করার চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়াও গোটা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি চলছে।’
সল্টলেক পুরসভা, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা নিয়ে ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল বিধাননগর কর্পোরেশন। প্রথম মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি মেয়র ছিলেন। তারপর মেয়র হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এদিন বেআইনি নির্মাণ ইস্যুতে সব্যসাচীবাবু বলেন, আমার সময় একটা কোনও ঘটনাতেও আদালতের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়নি। এখন তো রোজই গালে চড় খেতে হচ্ছে। দু’গালে চড় খেতে খেতে গাল লাল হয়ে গিয়েছে। আমার সময় অফিসারদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া থাকত, কোনও অভিযোগ হলেই তদন্ত করে আমার কাছে রিপোর্ট দিতে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হতো। বেআইনি নির্মাণ আমরা ভেঙে দিতাম। কিন্তু এখন তো আমি নিজেই বহুবার মেয়রের কাছে অভিযোগ করেছি। কমিশনারের কাছেও অভিযোগ দিয়েছি। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে মেয়রের কাছে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হয়নি। তাই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সদিচ্ছা আছে কি না আমার সন্দেহ! কারণ চাইলেই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। পুলিসকে বললে পুলিস কাজ করবে না? তা কী হয়? তাই পুলিস, কাউন্সিলারদের দোষ দিয়ে কী হবে! আসলে এটা বাইপাস করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিষয়টি ঘোরানো হচ্ছে। সরষের মধ্যেই তো ভূত রয়েছে!
বিধাননগরে এখন বেআইনি নির্মাণটাই নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। এ কথা বলে চেয়ারম্যান তথ্য তুলে ধরেন, আমি ২০২০ সালে আদালতে একটি মামলা করেছিলাম। সেখানে রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানিয়েছে, বিধাননগর পুরসভার মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে ৩৩৩টি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। এটা আমার কথা নয়। এটা আদালতের সরকারি রেকর্ড।