কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বুধবার সকালে ওই মহিলাকে বিরাটি স্টেশনে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছিল যাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। রেলপুলিস ও জিআরপি পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাকে দফায় দফায় জেরা করে বারাসত জিআরপি। মহিলা জানান, তাঁর বাড়ি দমদমের রেলবস্তি। সত্যতা যাচাই করতে বুধবার বিকেলে শিশু সহ মহিলাকে নিয়ে দমদমের রেলবস্তিতে যায় পুলিস। সেখানে মহিলার থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শেষে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বারাসত জিআরপি থানায়। রাত ১১টা নাগাদ রামেশ্বর পাণ্ডে আসেন বারাসত জিআরপিতে। জানান, মহিলা তাঁর স্ত্রী। শিশুটি তাঁদের সন্তান। রামেশ্বর বিহারের বাসিন্দা। স্ত্রী সুস্মিতা ওড়িশার। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। বছর চারেক ধরে তাঁরা বারাসতের বামনগাছিতে থাকেন। রামেশ্বর দমদমে দিনমজুরে কাজ করেন। বুধবার তিনি দমদমে কাজে গিয়েছিলেন। তখন স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে চলে আসে। বারাসত জিআরপি ওসি রুপসিনা পারভিন বলেন, রামেশ্বরের কাছে নথি পাওয়ার পর রাতেই বামনগাছিতে পুলিস পাঠানো হয়। জানা যায়, দম্পতি সেখানেই বাস করেন। শিশুটিকে জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।
তবে গুজবের রেশ মেটেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরেও ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পেট্রাপোল থানার হরিদাসপুরে। পুলিস যুবককে উদ্ধার করেছে। আক্রান্ত যুবক দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক নিজের নামও বলতে পারেননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে হরিদাসপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন যুবক। যুবকের অসংলগ্ন কথায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁর কাছে থাকা একটি ব্যাগে মেয়েদের জামা দেখতে পান বাসিন্দারা। তারপর ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে মারধর করে জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পেট্রাপোল থানার পুলিস। আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।