কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ব্যাঁটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়। স্কুলের সামনে দিয়ে গিয়েছে হাওড়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ড্রেনেজ ক্যানাল রোড। সারাদিন ভারী পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রুটের বাস চলে। পড়ুয়া ও পথচারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাই এখানে প্রশস্ত ফুটপাত তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের ফেরে আবর্জনার স্তূপ থেকে সেই ফুটপাত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। স্কুলের পাঁচিল বরাবর প্রায় ১০০ মিটার অংশজুড়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গোটা এলাকার ময়লা এনে ফেলা হয় এখানে। সারাদিন দুর্গন্ধে জেরবার হতে হয় ছাত্রী-শিক্ষকদের। স্কুলে ছড়িয়ে পড়ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে স্কুলে ঢুকতে হয় ছাত্রীদের। সমস্যার কথা জানিয়ে স্কুলের তরফে প্রাক্তন কাউন্সিলার, পুর প্রশাসক, পুর কমিশনার, স্থানীয় মন্ত্রী-বিধায়ককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবস্থার বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ‘বহুবার আমরা অভিযোগ করেছি। কোনও ফল হয় না দেখে আশা ছেড়ে দিয়েছি। হঠাৎ কেউ এলে বুঝতেই পারবে না যে জায়গাটি আদতে ফুটপাত। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হচ্ছে স্কুলে। সেখানে জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গুর মশা। আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের ছাত্রীরা। গত বছর তিন ছাত্রী ডেঙ্গুতে ভুগেছে। এতবার বলার পরেও কেন আবর্জনা সরিয়ে ফুটপাত হাঁটাচলার যোগ্য করে দেওয়া হচ্ছে না, সেটাই রহস্য।’ তিনি আরও জানান, অতীতে একবার পুর-প্রশাসককে বলে কিছুটা কাজ হয়েছিল। তিনি জেসিবি পাঠিয়ে আবর্জনা তোলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সেই জেসিবি ময়লার সঙ্গে পাঁচিলের নীচের মাটিও তুলে নিয়ে চলে যায়। ফলে স্কুলের পাঁচিল নড়বড়ে হয়ে গিয়ে বিপত্তি বাড়ে।’
প্রসঙ্গত, নবান্নে সোমবারের বৈঠকে ফুটপাতের দখলদারি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের হাঁটার পথ কেন এভাবে রুদ্ধ থাকবে, প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, স্কুলের সামনের রাস্তা তো আবর্জনাই ‘দখল’ করে রেখেছে। এবার কি তাহলে এই ফুটপাতও ‘দখলমুক্ত’ হবে? পুরসভার এক কর্তার আশ্বাস, ‘শীঘ্রই ওই ফুটপাত থেকে আবর্জনা সরানো হবে। তারপর ওখানে যাতে আর ময়লা না পড়ে, সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টাও করবে পুরসভা।’