কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বুধবার সকালে রাজারহাট থানা এলাকার ব্রাহ্মণপাড়ায় ওই বালককে খুনের চেষ্টা করে এক যুবক। বাইকে করে স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে কিছুদূর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই একটি বাগানের ধারে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে প্রযুক্তির মাথায় সজোরে আঘাত করে অভিযুক্ত। তীব্র আর্তনাদ করে রাস্তার ধারে জলকাদার মধ্যে লুটিয়ে পড়ে ওই বালক। সেই চিৎকার শুনে স্থানীয় এক মহিলা ঘটনাস্থলের দিকে যেতেই সেখানে থেকে বাইকে চেপে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এরপরেই খবর পেয়ে পুলিস এসে ঘটনাস্থল থেকে বালকটিকে প্রথমে চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে মাথা থেকে অত্যধিক রক্তক্ষরণের জন্য প্রযুক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে তড়িঘড়ি কলকাতার মল্লিকবাজারের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে এদিনও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য চিকিৎসকদের নজরে রাখা হয়েছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত নিয়মিত মদ্যপান করত। পাশাপাশি, জুয়া খেলার নেশাও ছিল তার। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে অনলাইন জুয়া খেলায় সে মোটা টাকা লগ্নি করেছিল বলে খবর। হাতে পাওয়া একাধিক তথ্য খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে রুপোর ব্যবসায়ী অনুপ নস্করের থেকে টাকা হাতানোর জন্যই তাঁর ছেলেকে অপহরণের ছক কষেছিল অভিযুক্ত। তবে সেক্ষেত্রে খুনের চেষ্টা করা হল কেন? তা নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সম্প্রতি গয়নার ব্যবসা শুরু করে অভিযুক্ত। বালকের বাবাও রুপোর গয়না তৈরি করে বিক্রি করেন। সেই সূত্রে ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা রয়েছে কি না, সেই ধোঁয়াশাও কাটানোর চেষ্টা চলছে। তবে পুলিসের কাছে অনুপ নস্করের বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা হয়নি।