কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, বিধি না মেনে দুর্গাপুজোয় লাগামছাড়া উন্মাদনার প্রভাব টের পেতে শুরু করেছে কলকাতা। প্রাথমিকভাবে গত তিনদিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিচার করে এমনটাই মত পুর আধিকারিকদের। তথ্য বলছে, বুধবার রাজ্য সরকারের করোনা বুলেটিন অনুসারে, শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৪। যাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩২ জন। আবার, রাত পোহাতে গত ২৪ ঘণ্টার যে রিপোর্ট বৃহস্পতিবার পুরসভার হাতে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপসর্গহীনের সংখ্যা বেড়েছে। পুর আধিকারিকদের দাবি, পুজোর পর নতুন করে টেস্ট বেড়েছে। ফলে অনেকেই টেস্ট করাচ্ছেন। করোনা ধরা পড়ছে। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ পরীক্ষা বাড়িয়ে বোঝা যাবে, এই উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা কত বৃদ্ধি পায়।
বুধবারই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহরের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৪। যাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্ত ১৩২ জন। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা ২৬০। এর মধ্যে ১৬৩ জন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। পুরো আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে উপসর্গহীন ২০১ জন এবং উপসর্গ রয়েছে ৫৯ জনের। আবার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও যে ১৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২০ জনই উপসর্গহীন।
পুরসভার দাবি, স্বেচ্ছায় নয়, দায়ে পড়েই করোনা পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কারও বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজন, কারও বিমানে ওঠার প্রয়োজন। তাঁদের চাই করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। সেই পরীক্ষা করানোর ফলেই শহরে করোনা বৃদ্ধির এই চিত্রটি ধরা পড়ছে। এই আক্রান্তদের সিংহভাগই উপসর্গহীন। মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষা হয়েছে শহরে ৫,৯০০ জনের। বুধবার করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৫,৬০০ জনের।