কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
দীর্ঘদিন এই অঞ্চলে তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শিবু ঘোষ। কিন্তু জেলা কমিটি ঢেলে সাজার সময় অনেক রদবদল করা হয়। তখন কুহেলি ঘোষকে রাজপুর টাউনের সভাপতি ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের ওয়েবসাইটেও তাঁর নাম আপলোড করে দেওয়া হয়। সেই মতো তিনি কাজ শুরু করে দেন। কিন্তু তৃণমূলের এক গোষ্ঠী কুহেলিদেবীকে মেনে নিতে অস্বীকার করে। তা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। এদিকে, পুজোর সময়ে শুভেচ্ছাবার্তা সহ কুহেলিদেবীর নামে পোস্টার দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুজো মিটতেই বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও একটি পোস্টার দেওয়া হয়, যেখানে নাম রয়েছে শিবু ঘোষের। তিনিও নিজেকে দলের রাজপুর টাউনের সভাপতি বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, একজনের পোস্টারে স্থানীয় বিধায়কের ছবি নেই। সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্র জুড়ে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে এমন কাণ্ড যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে, তাও স্পষ্ট। এই প্রসঙ্গে লাভলি বলেন, আমরা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন দলই সিদ্ধান্ত নেবে। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।
এদিকে, জেলা কমিটি রদবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তখন নাকি শিবুবাবুকে কাজ চালিয়ে যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয় বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। যদিও লিখিত কিছু আসেনি। এখনও কুহেলিদেবীর নামই টাউন সভাপতি হিসেবে দলের ওয়েবসাইটে রয়েছে। এতে দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একটি অংশ বলছে, শিবুবাবুর বয়স হয়েছে। তাই এখন নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। আবার আরেক গোষ্ঠীর দাবি, কাউন্সিলার (এখন কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে কুহেলিদেবী ঠিক আছেন। কিন্তু রাজপুর অঞ্চলে দল পরিচালনা করার দক্ষতা তাঁর নেই। সব মিলিয়ে একটি পদ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।