কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অনিল হায়দরাবাদের চারমিনার এলাকায় সোনার কাজ করত। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একটি দোকান থেকে সোনা নিয়ে এসে গয়না তৈরি করে দিত সে। ওই দোকানের মালিক প্রদীপ মিশ্র জানান, অলঙ্কার তৈরির জন্য দোকান থেকে কখনোও ২০০, আবার কখনও ২৫০ গ্রাম করে সোনা দেওয়া হতো অনিলকে। তবে পুজোর মাস তিনকে আগে দোকানে অলঙ্কারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধাপে ধাপে ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম সোনা দেওয়া হয় তাকে। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, সময় মতো অলঙ্কার তৈরি করে দেওয়া দূরে থাক, মাস দু’য়েক আগে কাউকে কিছু না বলে অনিল বাড়ি চলে আসে। প্রদীপবাবু চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও অনিলের কোনও খোঁজ না পেয়ে শেষে আমতায় এসে বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই পুলিস রাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে খবর, হায়দরাবাদ থেকে সোনা নিয়ে আসার পরে অনিল বিভিন্ন জায়গায় সেই সোনা বিক্রির চেষ্টা করে। সম্প্রতি এই বিষয়ে পুলিসের কাছে খবরও আসে। এরপর বুধবার হায়দরাবাদের সোনার দোকানের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অনিলকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের দাবি, হায়দরাবাদ থেকে নিয়ে আসা সোনার কিছুটা সে বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, প্রদীপবাবুর এক আত্মীয় জানান, অনিল দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূত্রে বাইরে আছে। তাই বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রামে ফিরে ব্যবসা করার কথা বলছিল। হয়তো সেই কারণেই অনিল সোনা নিয়ে পালিয়ে আসে।