উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কারা রয়েছে তালিকায়? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কর্মরত কমপক্ষে ১১ জন পদস্থ আমলা, বিধায়ক ও সাংসদের কাছে পৌঁছত এনামুলের টাকা। এছাড়াও দিল্লিতে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি আমলা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেশ কয়েকজন অফিসারও টাকা পেতেন। একেক জনের কাছে মাসে এক লক্ষের উপর ‘মাসোহারা’ যেত বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এনামুল ঘনিষ্ঠ দুই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের নথি ঘেঁটেই এই লেনদেনের বিষয়টি জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
বিনা বাধায় যাতে তার গোরু সীমান্ত পেরিয়ে পড়শি দেশে পৌঁছে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই দিল্লির আমলাদের টাকা দিত এনামুল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে গোরু ধরা পড়লেই সোজা দিল্লিতে ফোন করত সে। উপরমহলের ফোন পেয়ে সেই গোরু ছেড়ে দিত বিএসএফ। অন্যদিকে, এনামুল যাতে নির্বিবাদে বেআইনি কারবার চালিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতেন বিধায়ক-সাংসদরা। কোনও আমলা বা পুলিস আধিকারিক বেগড়বাই করলে সরাসরি ওই জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ফোন করিয়ে তাঁদের সমঝে দিত এনামুল।
এই টাকা এনামুল মূলত দু’ভাবে পাঠাত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। কেউ পেতেন নগদে। কারও কাছে টাকা পৌঁছত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে। বিধায়ক-সাংসদদের আত্মীয়দের নামে খোলা সংস্থায় ব্যবসায়িক লেনদেন দেখিয়ে ওই টাকা পৌঁছে দিত এনামুল। সেখান থেকে আরও কয়েকটি কোম্পানি ঘুরে টাকা পৌঁছত অভিষ্ট গন্তব্যে। এই কোম্পানিগুলিও এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ‘রেডার’-এ রয়েছে।
ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার জন্য শনিবার এনামুলকে পাতিয়ালা কোর্টে পেশ করেছিল সিবিআই। কিন্তু, সেখানে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যায় সে। তবে আদালত শর্ত দিয়েছে, আগামী সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হবে। যদিও, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে সিবিআই।