নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জেলার প্রতিটি মহকুমা ও থানা এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান অব্যাহত রাখতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। তিন পুলিস জেলার সঙ্গে কথা বলে ঠিক হয়েছে, এখন থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি, অন লাইনে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা ছাড়াও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীরা যে কোনও জায়গাতে যেতে পারবে। এজন্য হোয়াটসআপের মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিসের নির্দিষ্ট জায়গাতে তাদের আবেদন করতে হবে। তা যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট পণ্যবাহী গাড়ি ও তার সঙ্গে যুক্ত সার্ভিস প্রোভাইডরকে একটি ই-পাস ইস্যু করা হবে। শনিবার আলিপুর জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে এই খবর দেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। একইভাবে এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেও তাঁর অফিস পৈলানে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। প্রশাসনের দাবি রাজ্যের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই প্রথম এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে লকডাউন শুরু হয়েছে। তার সুযোগ নিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গাতে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছে। ক্রেতাদের কাছে কালোবাজারি চক্রের বক্তব্য, পণ্যবাহী গাড়ি আসছে না। তাই ঘুরপথে জিনিস আনতে গিয়ে দাম বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ডিম, তেল আটা সহ আনাজপাতি থেকে ফুলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। জেলাশাসক এদিন বলেন, এটা সঠিক নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পর্যাপ্ত রয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত নিয়ে সামান্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা দূর করতেই ই-পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে এজন্য আবেদনকারী সার্ভিস প্রোভাইডরকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। তাতে ছবি, নাম, ঠিকানা, পরিচয়পত্র, কী জিনিস কোথায় যাচ্ছে, তা বিস্তারিত দিতে হবে। কোনও কারখানা থেকে তৈরি হলে তারও উল্লেখ করতে হবে। সেখানে বলতে হবে ওই জিনিস ব্যক্তিগতভাবে, নাকি লরিতে যাবে। কোনও সময় থেকে কোন সময় তাও নির্দিষ্ট করতে হবে। একটি টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে। তা হল, ১৮০০৩৪৫২০২০। পাশাপাশি ওই ই-পাস ইস্যু করার জন্য জেলার পাঁচটি মহকুমা স্তরে প্রশাসন ও পুলিসের চারজন করে আধিকারিকদের নিযুক্ত করা হয়েছে। আবেদন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধিকারিকরা সরকারি আইন মেনে যাচাইয়ের পর পাস ইস্যু করে দেবেন।
এদিকে, লকডাউন চলার জেরে বারুইপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন বাজারে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ করতে এসে আটকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা ১৩ জন শ্রমিক। টাকা-পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের এমনই অভিযোগ। বারুইপুরের মহকুমাশাসক দেবারতি সরকার বলেন,বিষয়টি বারুইপুর পুরসভাকে দেখবার জন্য বলা হচ্ছে।