ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলেই সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষত আতান্তরে পড়েছেন প্রবীণ নাগরিকেরা। কলকাতা পুর-এলাকার বিভিন্ন হেলথ ইউনিট থেকে ওষুধপত্র নেন, এমন মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠ বয়স্ক। অনেকেই একা থাকেন। বাইরে বেরিয়ে ওষুধ জোগাড়ের ক্ষমতা নেই। এমন অবস্থায় তাঁরা ঘরের বাইরে বেরতে পারছেন না। সেই সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। যিনি নিজেই পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
ফেসবুক বার্তায় অতীনবাবু লিখেছেন, সেই সব নাগরিক, যাঁরা অসহায় ও একা থাকেন, তাঁদের বাড়িতে জরুরি ওষুধ পৌঁছে দেবে কলকাতা পুরসভা। বিশেষ করে, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, সিওপিডি, অ্যাজমা ও টিবি রোগে আক্রান্ত অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা পুরসভার বিভিন্ন হেলথ ইউনিটে চিকিৎসারত। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে তাঁরা হেলথ ইউনিটে আসতে পারছেন না। তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। যদিও সেই ওষুধ বাড়িতে পেতে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে সেইসব নাগরিকদের। ফেসবুক বার্তায় ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, প্রত্যেককে তাঁদের নাম , বয়স, বাড়ির নম্বর, রাস্তার নাম, রোগীর নিজের বা নিকটবর্তী কারও ফোন নম্বর এবং কোন কোন ওষুধ প্রয়োজন সেটা নথিভুক্ত করে ই-মেল করতে হবে নির্দিষ্ট মেল আইডিতে। সেই মেল আইডিও ফেসবুকে দিয়েছেন অতীনবাবু। সেটি হল- mmichealthkmc@gmail.com /cmhomail@gmail.com
তবে, শুধুমাত্র কলকাতা পুসভার বিভিন্ন হেলথ ইউনিটে যাঁরা চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁদের জন্য বাড়ি বাড়ি ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হেলথ কেয়ারে যে সব নাগরিক চিকিৎসা করান, কিন্তু বর্তমান অবস্থায় বাইরে গিয়ে ওষুধ নেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা থাকবে বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন অতীনবাবু।
এমনিতেই করোনা প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। প্রায় ১২০০০ পুরকর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করছেন। দিনভর চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। এই অবস্থায় ডেপুটি মেয়রের এই ফেসবুক বার্তায় কলকাতা পুরসভার ‘মানবিক’ মুখ ফুটে উঠল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।