কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় বাকরুদ্ধ সমাপ্তির সহপাঠীরা। প্রাণচঞ্চল মেয়েটি কেন এমন চরম কাজ করল, ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই। যদিও হাসপাতালের কিছু কিছু সূত্র জানিয়েছে, আগাগোড়া বাংলা মাধ্যমে পড়া মেয়েটির ইংরেজিতে নার্সিং পড়াশোনা বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলেন। নার্সিং-এ খুব একটা আগ্রহও ছিল না তাঁর। জোর করে তাঁকে পড়তে পাঠানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছে কোনও কোনও মহল।
এদিকে এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং কতটা জরুরি। কিছুদিন আগে সিঙ্গুরের বাসিন্দা বাংলা মাধ্যমের এক মেধাবী ছাত্র সেন্ট জেভিয়ার্স-এ পড়তে এসে ইংরেজিতে পড়ানো বুঝতে না পেরে মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহননের পথ বেছে নেন। সমাপ্তির ক্ষেত্রেও কি কারণটি তাই ছিল, তা অন্য কোনও রহস্য আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ঘটনায় সোমবার ন্যাশনালে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। নার্সিং শাখার এক পদস্থ কর্ত্রী জানান, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন কলেজের প্রথম বর্ষের নার্সিং-এর মেয়েদের কাউন্সেলিং করানো হবে। যদিও ১ অক্টোবর পাঠ্যক্রম শুরু হওয়ার পর, দীর্ঘসময় পুজোর ছুটি শেষে সদ্য ক্লাস শুরু হওয়ার পরই এমন চরম পথ বেছে নেওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা। সেখানে রহস্যও দানা বেঁধেছে। সত্যিই কি বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা সংক্রান্ত সমস্যার পরিণতি এটি, নাকি রয়েছে অন্যও কোনও রহস্য— খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
সূত্রের খবর, সমাপ্তির ক্ষেত্রে মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা ঘটলেও, নার্সিং পড়া শুরু করে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা যত দিন যাচ্ছে, বাড়ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত প্রথম বর্ষের ছ’জন জিএনএম ছাত্রী নার্সিং পড়া শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তা ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছে স্বাস্থ্যভবনে। সে আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে।
ন্যাশনাল সূত্রের খবর, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রথম বর্ষের এই নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি আউটডোর টিকিট কাউন্টার লাগোয়া ন্যাশনালের নার্সিং হস্টেলের উপরের তলার গ্রিলের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে ঝুলছিল।