হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে একটি বেআইনি মদের ঠেকে মদ কেনাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ তুলে কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একদল ক্রেতা ঠেকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরকারীদের বরানগর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের একটি ক্লাবের সদস্যরা চড়াও হয়ে মারধর করে। এরপর আক্রান্তরা গিয়ে নালিশ করে কামারহাটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শঙ্করী ভৌমিককে। তিনি ও তাঁর ছেলে অরিন্দম ভৌমিক দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা আসতেই পুলিসের সামনে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। মুহূর্তে এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। তারপরই পুলিস লাঠিচার্জ করে। পুলিসের মারে জখম হন মহিলা কাউন্সিলারের ছেলে সহ আরও অনেকে। পরে র্যা ফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শঙ্করীদেবী নিজেও জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, রেলওয়ে কোয়ার্টার্স বস্তি এলাকার ছেলেরা মার খাওয়ায় আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওরা আমাকে বারবার ডাকছিল। গিয়ে দেখি, আমার ছেলেও সেখানে রয়েছে। ক্লাবের ছেলেরা আমাদের উপর চড়াও হয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে মারধর করেছে। আমাদের মোট চার জন জখম হয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর বাসস্ট্যান্ডের যেখানে বেআইনি মদের ঠেকটি, তার কিছুটা দূরেই একটি ক্লাব রয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক স্থানীয় এক তৃণমূলের যুব নেতা। ওই যুব নেতা আবার এলাকার বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অভিযোগ, ওই যুব নেতার নেতৃত্বেই কামারহাটির মহিলা কাউন্সিলারের ছেলের উপর হামলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদের ঠেক ভাঙচুরের প্রতিবাদ করে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। এরপর কাউন্সিলারের ছেলে অরিন্দম দলবদল নিয়ে এলে তাঁরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁদের পক্ষেও তিন জন জখম হয়েছে। জখমদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। বরানগর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার পৃথা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই এলাকায় সমাজবিরোধীদের একটা আস্তানা চলছে, তা আগেই পুলিসকে জানিয়েছিলাম। একটি বেআইনি মদের ঠেকেও চলে। রাতে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। পুলিসকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে।
ওই রাতে দুই পক্ষের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে জখম হন বরানগর থানার দুই পুলিস কর্মী। তাঁদের প্রথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। যদিও দক্ষিণেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে বেআইনি মদের ঠেকের কথা পুলিস স্বীকার করছে না। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়েছিল। দু’জন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।