কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর যে পরিমাণ ইলিশ ভারতে আনার অনুমতি দেয় এবং তার জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দেয়, তা পর্যাপ্ত নয়। শেষ পর্যন্ত অর্ধেকের বেশি ইলিশ আনা সম্ভব হয় না সময়ের অভাবে। গত কয়েক বছর ধরেই এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী এপারের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার এদেশে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ নিয়ে আসার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে এসে পৌঁছেছিল মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন। অর্থাৎ বরাদ্দ ইলিশের এক তৃতীয়াংশও ভারতে ঢোকেনি। তার ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ইলিশ আসে ১ হাজার ৩০০ টন। সেবার অনুমতি ছিল ২ হাজার ৯০০ টনের। ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল মাত্র ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ। সময়ের অভাবে বাকি মাছ আনা সম্ভব হয়নি।
তবে এবার পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, সেদেশের সরকার যাতে পুজোর আগে মাছ পাঠায়, তার জন্য বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি লিখেছেন ব্যবসায়ীরা। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে যাতে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়, সেই শুভকামনা জানিয়েছি আমরা। পাশাপাশি গত পাঁচ বছর সেদেশের সরকার যেভাবে মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল, এবারও যাতে পুজোর আগে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তার আর্জি জানিয়েছি। কারণ, বাংলার পাশাপাশি অসম ও ত্রিপুরাতেও বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে।’
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা না মিটিয়ে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেবে না বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কত বেশি ইলিশ সেদেশে উঠছে, সেদিকেই আপাতত নজর রাখতে হবে এদেশে আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের।