নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’চাকা গাড়ি ছাড়া অন্যান্য গাড়ির বিক্রি কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে আগস্ট মাসে। সেই তালিকায় যেমন যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, তেমনই আছে বাণিজ্যিক গাড়ি। বিক্রিবাটা কিছুটা কম থাকায় চিন্তিত ডিলাররা। তার কারণ, শোরুমগুলিতে গাড়ির স্টক অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছে গাড়ি ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠন ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনস (ফাডা)। তাদের আর্জি, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিলারশিপগুলিতে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আনুক। অন্যদিকে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাড়ি শোরুমগুলিতে না পাঠায়, তারও আর্জি জানিয়েছে তারা। ফাডার দাবি, সামগ্রিকভাবে আগস্ট মাসে দেশে গাড়ি বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে যেখানে প্রায় ৩ লক্ষ ২৪ হাজার যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছিল, গত আগস্টে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯ হাজারে। বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি কমেছে ৬ শতাংশ হারে। ট্রাক্টর বিক্রি কমেছে ১১ শতাংশ। তবে, দু’চাকার বিক্রি বেড়েছে। গতবছর আগস্টে যেখানে দু’চাকা গাড়ি বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১২ লক্ষ ৫৯ হাজার, তা গতমাসে ৬ শতাংশ বেড়েছে।
ফাডার কর্তারা জানাচ্ছেন, শোরুম থেকে ডেলিভারি হওয়ার পর, ডিলারশিপগুলিতে গাড়ি থেকে যাচ্ছে গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। প্রায় ৭ লক্ষ ৮০ হাজার গাড়ি শোরুমগুলিতে রয়েছে, যার দাম ৭৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর পরও প্রতিটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা প্রতিমাসে নিয়ম করে শোরুমে গাড়ি পাঠিয়ে চলেছে। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফাডা সভাপতি মণীশ রাজ সিংহানিয়া। তাঁর কথায়, বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ডিলারশিপগুলিতে ঋণের ব্যাপারে রাশ টানুক। কারণ যে ডিলারশিপে অবিক্রিত গাড়ির সংখ্যা বেশি, সেখানে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি ডিলাররাও যাতে অতিরিক্ত স্টক না তোলে, সেই ব্যাপারেও সচেতন করা হয়েছে। ফাডার কর্তাদের বক্তব্য, অতিরিক্ত ও সামঞ্জস্যহীন বর্ষা গাড়ির বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্রেতাদের কেনার আগ্রহে কিছুটা ভাটা এসেছে। সামনেই উৎসবের মরশুম। এই পরিস্থিতিতে বাজার ধরতে বিপণন প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজার পরামর্শ দিয়েছে ফাডা।