কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
আসুনসিওন: মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই ঘটা করে কোচ ডোরিভাল জুনিয়র বলেছিলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল।’ তবে তা যে নিছকই দিবাস্বপ্ন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল প্যারাগুয়ে। বরং দলের খেলার যা হাল, তাতে মার্কিন মুলুকে কাপ যুদ্ধের লড়াইয়ে সেলেকাওদের যোগ্যতা অর্জন নিয়েই দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে ০-১ গোলে বশ মানলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। ছন্নছাড়া ফুটবল আর দলে যোগ্য নেতার অভাবে শুরু থেকেই ভুগতে হল ব্রাজিলকে। ক্লাব ফুটবলে দাপিয়ে বেড়ানো রডরিগো, ভিনিসিয়াসরা আদৌ পাঁচতারা জার্সি গায়ে তোলার যোগ্য কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ম্যাচের ২০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আউটস্টেপের শটে প্যারাগুয়ের হয়ে জয়সূচক গোলটি ডিয়েগো গোমেজের। এই হারের ফলে আট ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে নামল ব্রাজিল। এক পয়েন্ট কম নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে প্যারাগুয়ে।
ব্রাজিল মানেই জোগো বোনিতো। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল, স্কিলের তুবড়িতে বারবার মুগ্ধ হয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ পিছিয়েছে দেশের ফুটবল। শেষ বড় সাফল্য বলতে ঘরের মাটিতে ২০১৯ সালে কোপা জয়। তারপর হতাশা ছাড়া কিছুই জোটেনি সেলেকাওদের কপালে। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে যেন জেতার খিদেটাই হারিয়ে গিয়েছে। সকলেই এখন ক্লাব ফুটবল নিয়ে মত্ত। এমনই অবস্থা যে কোনও নামী কোচই আর ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে সাহস পান না। তাই দেশের জার্সি কখনও গায়ে না চাপিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে যান ডোরিভাল জুনিয়র। ফলে যা হওয়ার, সেটাই ঘটছে। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি হার। বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একবারের জন্য ব্রাজিলের খেলা দেখে মনে হয়নি, তারা ম্যাচটা জিততে পারে। বরং প্যারাগুয়ে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, লজ্জা আরও বাড়ত। চলতি বছরে আরও চারটি বাছাই পর্বে ম্যাচ রয়েছে ব্রাজিলের। তাতে দলের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে না পারলে, ২০২৬ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের পথ আরও কঠিন হবে নেইমারদের।