কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু পালাবদলের সাক্ষী। সাত কিংবা আটের দশকের দলবদল গড়ের মাঠের নস্টালজিয়া। ফুটবল ক্যাচারদের দাপাদাপি, সইয়ের আগে ফুটবলারকে নিজের ডেরায় লুকিয়ে রাখার মতো ঘটনা নিয়ে তৈরি হতো তীব্র হাইপ। পরবর্তীতে টোকেন সিস্টেম চালু হওয়ার পর দলবদলের সেই উন্মাদনায় আসতে আসতে ভাটা পড়ে। আইএসএল শুরুর পর ফুটবলার রিক্রুটের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এসেছে। পেশাদার ফুটবলারের নিজস্ব এজেন্ট রয়েছেন। সাধারণত চুক্তি সম্পর্কিত বিষয় তাঁরাই দেখভাল করেন। ফুটবলার ও ক্লাবের সম্পর্কের মূল ভিত্তিই হলো চুক্তি। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, চুক্তির ক্ষেত্রে ফুটবলাররা আরও সচেতন হোক। সইয়ের আগে কাগজ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। অন্য কারও কথায় প্রভাবিত হওয়ার বদলে নিজে সবটুকু বুঝে নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। মোদ্দা কথা, সবদিক থেকে নিশ্চিত হয়ে চুক্তি সই করা উচিত। মোহন বাগানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি থাকা সত্ত্বেও আনোয়ারের তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি। ও জাতীয় দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। মাঠে হিমশীতল মস্তিষ্কে প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারদের সামাল দেয়। আনোয়ারের মতো পরিণত ফুটবলারের কাছে এমন ভুল প্রত্যাশিত নয়। ফুটবল কেরিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ বাঁকের সামনে দাঁড়িয়ে আনোয়ার। সামনে লম্বা রাস্তা পড়ে রয়েছে। অহেতুক তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিল না। মোহন বাগান দেশের অন্যতম সেরা দল। সবুজ-মেরুনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ভেঙে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ানো কাম্য নয়। আমার অনুমান, অন্য কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করে ভুগতে হচ্ছে আনোয়ারকে।