কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। আর ইকনমি রেট তো রীতিমতো ঈর্ষণীয়— ৪.০৮। ম্যাচের মোড় ঘোরাতে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ‘গো টু ম্যান’ যশপ্রীত। দায়িত্ব নিয়ে প্রতি ম্যাচেই তফাত গড়ে দিচ্ছেন তারকা পেসার। রোহিত শর্মা বলছিলেন, ‘বুমরাহ বল হাতে কী করতে পারে, সেটা সবারই জানা। তাই ওকে নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই।’ দলের বোলিং ইউনিট নিয়ে রীতিমতো গদগদ বুমরাহও। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে টিম ইন্ডিয়ার সেরা স্ট্রাইক বোলার বলেন, ‘আমাদের বোলিং এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। এর নেপথ্যে রয়েছে ধারাবাহিকভাবে তরুণ প্রতিভার উত্থান। চলতি বিশ্বকাপে তো রীতিমতো নজর কেড়েছে অর্শদীপ। ওর উন্নতি দেখে আমি আপ্লুত। বড় মঞ্চে স্নায়ুর চাপ সামলানো সহজ ব্যাপার নয়। ওকে দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। নতুন বলে দুই দিকেই সুইং করাচ্ছে। ডেথ ওভারেও বেশ কার্যকরী। আগামী দিনে ও আরও পরিণত এবং ধারালো হবে।’ ঝলমলে পারফরম্যান্সের জন্য অর্শদীপ আবার কৃতিত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র তারকাকে। তিনি বলেন, ‘বুমরাহ ভাই একপ্রান্ত থেকে চাপ সৃষ্টি করে। তাই প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা আমায় টার্গেট করতে গিয়ে উইকেট খোয়ায়। আমার সাফল্যে ওর বড় অবদান রয়েছে।’
এদিকে, রোহিত ব্রিগেডের প্রশংসা করতে গিয়ে কপিল বলেন, ‘ভারত ইদানীং যে কোনও টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই নামে। এটা দারুণ ব্যাপার। বেশিরভাগ আসরেই সেমি-ফাইনাল, ফাইনালে খেলছে দল। আমাদের সময়ে এটা ভাবাই যেত না। এর জন্য রোহিত শর্মাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’ ২০১১ সালের পর আর বিশ্বকাপ জেতেনি টিম ইন্ডিয়া। এমনকী আইসিসি’র কোনও ট্রফিও আসেনি ২০১৩ সালের পর। বিশ্বকাপ জেতার রহস্য কী? এই প্রশ্নের জবাবে ১৯৮৩-র বিশ্বকাপের নায়কের বক্তব্য, ‘টিম গেম। ১৯৮৩ সালে শুধু আমি একা ভালো খেলছিলাম, তেমনটা নয়। রজার বিন্নি, যশপাল শর্মারা ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিল। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে রোহিত-ব্রিগেডও টিম গেমে ভর করে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। তাছাড়া দলে বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো একাধিক ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা রয়েছে অধিনায়কত্ব করার। তার ফলে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আলাপ আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে ক্যাপ্টেন রোহিতের।’