কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বড় আসরে চূড়ান্ত পর্বে বার বার ভেঙে পড়ার ঘটনা প্রোটিয়াদের গায়ে সেঁটে দিয়েছে চোকার্স তমকা। সেই গ্নানি বহুকাল বয়ে বেড়াচ্ছে তারা। অবশেষে প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা মুক্তি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়াটাই কাল হয় আফগানিস্তানের। উইকেট চিনতে ভুল হয়েছিল রশিদের। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। প্রথম ওভারেই গুরবাজকে (০) ফেরান জানসেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের নামের পাশে লেখেন গুলবাদিনের উইকেট। এরপর জোড়া ধাক্কা দেন রাবাডা। একটা সময় আফগানিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ২০। আজমাতুল্লাহ (১০) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেনি। তাঁকে আউট করেন নর্তজে। আর খারোতে হন জানসেনের তৃতীয় শিকার। অধিনায়ক রশিদ খানের কাছে চাপের মুখে লড়াকু ইনিংস প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। নর্তজের বলে ৮ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তারকা স্পিনার। পেসারদের সাজিয়ে দেওয়া মঞ্চে স্পিনের ভেল্কি দেখান সামসি। তিনটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন তিনি।
জবাবে কুইন্টন ডি’ককের (৫) উইকেট হারিয়ে শুরতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে রেজা হেনডিরকস (অপরাজিত ২৯) ও ক্যাপ্টেন মার্করাম (অপরাজিত ২৩) কোনও ঝুঁকি নেননি। তাঁরা সহজেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ৫৬-১০ (আজমাতুল্লাহ ১০, জানসেন ৩-১৬, সামসি ৩-৬)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০-১ (হেনডরিকস অপরাজিত ২৯, মার্করাম অপরাজিত ২৩)।