কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
প্রথম দু’ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে ধুঁকতে থাকা জর্জিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে মুকুটে আরও এক পালক যোগ করতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। তবে তাঁর সাজানো মঞ্চে দাপিয়ে বেড়ালেন খভিচা কভারাতসখেলিয়া। ক্লাব ফুটবলে নাপোলির জার্সিতে খেলা এই জর্জিয়ান স্ট্রাইকারকে ভালোবেসে ডাকা হয় ‘কাভারাদোনা’ নামে। তাঁর দুরন্ত ফুটবলের কাছেই অসহায় আত্মসমপর্ণ করল পর্তুগিজ রক্ষণ। শুধু জাল কাঁপানোই নয়, গোটা ম্যাচে বিপক্ষ বক্সে দাঁপিয়ে বেড়ালেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। জর্জিয়াকে প্রথমবারের জন্য কোনও মেগা টুর্নামেন্টের নক-আউটের টিকিট এনে দিলেন রোনাল্ডো অনুরাগী। ম্যাচে ২-০ গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে গোটা জর্জিয়া দল যখন বাঁধনছাড়া সেলিব্রেশনে মত্ত, খভিচা অবশ্য এগিয়ে গেলেন আইডল রোনাল্ডোর দিকে।
এবারের ইউরোয় অন্যতম ফেভারিট হিসেবে অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল। তুরস্ক ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে জয় সেই পথ অনেকটাই পোক্ত করেছে। তবে জর্জিয়ার বিরুদ্ধে হার কিছুটা হলেও ধাক্কা দেবে রবার্তো মার্তিনেজ ব্রিগেডকে। পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে মোট ২২টি শট নেন পর্তুগিজ অ্যাটাকাররা। তবে একবারের জন্য প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি। বরং পেপে-জো কানসেলোদের অনুপস্থিতিতে পর্তুগিজ রক্ষণকে বারবার কাঁপতে দেখা গিয়েছে। জর্জিয়ার দু’টি গোলের ক্ষেত্রে দায় এড়াতে পারেন না আন্তোনিও সিলভা। দল নিয়ে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হেঁটেছিলেন কোচ মার্তিনেজ, তা যে পুরোপুরি ব্যর্থ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই ধাক্কা সামনে রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেটাই দেখার।