কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
অতীতে মুখোমুখি সাক্ষাতে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে কখনও আর্জেন্তিনাকে হারাতে পারেনি চিলি। ২০১৫ ও ২০১৬ কোপার ফাইনালে অবশ্য টাই-ব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছিলেন ব্র্যাভো-স্যাঞ্চেজরা। বুধবারও মেসিদের টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা। পক্ষান্তরে, কানাডার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে কোপা অভিযান শুরু করলেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি মেসি অ্যান্ড কোং। তাই চিলির বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সে উন্নতি করাই লক্ষ্য ছিল কোচ স্কালোনির। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় আর্জেন্তিনা। ৩৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির নেওয়া দূরপাল্লার শট পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ৬২ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেসের শট ব্র্যাভোর হাতে লেগে ক্রসবারে ধাক্কা খায়। এই পর্বে একচ্ছত্র আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্তিনা। পক্ষান্তরে, ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বক্সে সেভাবে কোনও ইতিবাচক আক্রমণ গড়তে পারেননি চিলি অ্যাটাকাররা। তবে এরপরই তিন মিনিটের ব্যবধানে রডরিগো এচেভেরিয়ার জোড়া শট রুখে দলের পতন আটকান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা না মেলায় ৭৩ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের পরিবর্তে লাওতারোকে মাঠে নামান কোচ স্কালোনি। গত ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমে স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন ইন্তার মিলানের তারকা স্ট্রাইকারটি। এদিনও হতাশ করলেন না। ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে মেসির ভাসানো ক্রসে হেড করেন লিসান্ড্রো মার্তিনেজ। তা অবশ্য প্রথম প্রচেষ্টায় রুখে দেন ব্র্যাভো। ফিরতি বল জালে জড়াতে ভুল করেনি লাওতারো মার্তিনেজ (১-০)। প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েই দু’কানে আঙুল দিয়ে সেলিব্রেশন সারলেন তিনি। আসলে কাতার বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। তবে কোপার আসরে তারই যোগ্য জবাব দিচ্ছেন লাওতারো। ম্যাচ শেষে জানান, ‘বল সামনে আসতেই কোনওকিছু না ভেবে সোজা গোলে শট নিয়েছিলাম। সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে ভালো লাগছে। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারলে আরও আনন্দ পেতাম।’ উল্লেখ্য, ম্যাচের শেষলগ্নে ডি মারিয়ার পাস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যবধান বাড়াবে পারেননি মার্তিনেজ। দিনের অপর ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারাল কানাডা। ৭৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি জোনাথন ডেভিডের।
(লাওতারো)