কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, গঙ্গাজলঘাটি থানার দুর্লভপুর এলাকায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। বাঁকুড়া সদর থানার হেভির মোড়ে এফসিআই-এর গুদাম সংলগ্ন এলাকাতেও একইভাবে লরি দাঁড়িয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা এর আগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দুর্লভপুরে ট্রাক টার্মিনাস করার জন্য বলা হয়েছিল। সমস্যা সমাধানে ফের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এব্যাপারে বাঁকুড়া জেলা ট্র্যাফিক পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপর যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সড়ক থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে চালকদের ট্রাক, লরি রাখতে হবে। সড়ক সংলগ্ন ধাবা, হোটেলের সামনে পণ্যবাহী যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য জায়গা ছেড়ে রাখতে হবে। চালকরা খাওয়াদাওয়া বা বিশ্রাম নিতে যাওয়ার আগে সেখানে যাতে যানবাহনগুলি দাঁড় করিয়ে রাখতে পারেন, তারজন্যই ওই জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
ট্রাক চালক অতীন কুমার বলেন, এফসিআইয়ের গুদাম থেকে শষ্য বোঝাই করার জন্য আমাদের লাইন দিতে হয়। গুদামের সামনে জায়গা না থাকায় জাতীয় সড়কের একাংশজুড়ে ট্রাকগুলি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা বাধ্য হয়েই সেখানে ট্রাক রাখি। তার ফলে অন্যান্য যানবাহনের চালকদের সমস্যা হয়। কিন্তু এছাড়া আমাদের অন্য কোনও উপায় নেই।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি বাইক নিয়ে দৈনিক শহর থেকে মেজিয়ায় কাজের জন্য যাতায়াত করি। এফসিআইয়ের গুদাম ও দুর্লভপুরে প্রায়ই দিনই জাতীয় সড়কের উপর ট্রাকের লম্বা লাইন পাস কাটিয়ে যেতে হয়। বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনকে রাস্তা ছাড়তে চরম সমস্যা হয়। যে কোনওদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চারচাকার গাড়ি চালকদেরও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।