মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
ইসলামপুর থানার চাতরাগেড়ে এলাকার বাসিন্দা অরুণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী উন্নতি মণ্ডল শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। সঙ্গে বছর আটেকের মেয়ে জয়ন্তী মণ্ডলকে নিয়ে এসেছিলেন। অরুণবাবু বলেন, আমি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার স্ত্রী ওপিডি বিভাগের চারতলায় ডাক্তার দেখনোর জন্য দাঁড়িয়েছিল। মেয়ে এসে আমাকে মোবাইল চায় গেম খেলব বলে। আমি মোবাইল না দিয়ে বসতে বলি। কখন মায়ের কাছে যাচ্ছিল জানি না। বাবার কাছ থেকে মোবাইল না পেয়ে চারতলায় মায়ের কাছে যাচ্ছিল জয়ন্তী। দোতলায় এক মহিলা তার মুখ চেপে ধরে আড়ালে নিয়ে যায়।
নাবালিকা বলে, আড়ালে নিয়ে গিয়ে আমার কানের দু’টো দুল খুলে নেয়। তারপর আমার মুখ চেপে কোলে তুলে নিয়ে পালাচ্ছিল। আমি ভয়ে ছটফট করছিলাম। গেটের বাইরে মাছের বাজারে আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়। মাছের বাজারে জয়ন্তীকে কাঁদতে থেকে হাসপাতাল রোডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা দুই সিভিক এগিয়ে যান। সমস্ত কথা শুনে তাকে উদ্ধার করে পুলিস ক্যাম্পে আনা হয়।
উন্নতি মণ্ডল বলেন, মেয়ে বাবার কাছে আছে ভেবে আমি নিশ্চিন্ত ছিলাম। ডাক্তার দেখিয়ে আসার পর ঘটনা শুনে আমি চমকে উঠি। দু’জনে মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে জানতে পারি পুলিসের কাছে আছে।
শনিবারের ঘটনা ফের আর একবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল। এর আগে একাধিকবার হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের মোবাইল, টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। সদ্যোজাত শিশু চুরির অভিযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এমনকী ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর বেড থেকে মোবাইল চুরির ঘটনাও হামেশাই ঘটছে। নিরাপত্তাহীনতায় রোগীর আত্মীয়রা বারবার প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অমিতকুমার দাঁ বলেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা হলে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এগুলি প্রশাসনের দেখার কথা। তবুও আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ হলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।