দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আনোয়ার জেএমবির সক্রিয় সদস্য ছিল। খাগড়াগড় কাণ্ডের সময় এনআইএ তাকে জেরা করে। প্রমাণ না থাকায় ছেড়ে দিতে হয়। তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন, সে ওই সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তারউপর নজরদারি তখন থেকেই চলতে থাকে। এনআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পর সে মোবাইল এবং সিমকার্ড বদলে ফেলেছিল। মূলত সে ‘ম্যানুয়ালি’ কাজ করতে থাকে। চেন্নাইয়ে এরাজ্যের বহু শ্রমিক কাজ করে। সে তাদের মগজধোলাই করতে থাকে। সেইসময় সে নিজেও রাজমিস্ত্রির জোগানদারের কাজ করত। পরে লন্ড্রিতে কাজ করতে থাকে। চেন্নাইয়ের একটি ঘিঞ্জি এলাকায় সে থাকত। নিজেকে নিরাপদে রেখে কাজ করার জন্যই সে ওই এলাকা বেছে নেয়। তবে গোয়েন্দারাও সমস্ত তথ্য নিয়ে জাল বিছিয়ে রাখে। গ্রেপ্তার হওয়ার চার-পাঁচদিন আগে থেকেই তার গতিবিধি গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। তিনদিন আগে সুযোগ বুঝে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক আধিকারিক বলেন, আনোয়ার প্রশিক্ষিত জঙ্গি। পুরনো লোক হওয়ায় শাহাদত সংগঠনে তার কদরও বেশি ছিল। তাকে জেরা করে অনেক তথ্য জানা যাবে।
শাহাদত বা আনসার আল ইসলামের বিস্তারে হাবিবুল্লার পাশাপাশি আনোয়ারের বড় ভূমিকা ছিল। সে সংগঠনের জন্য তহবিল জোগাড়েও মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজনের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিস। আনোয়ারের গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে সে জঙ্গি সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা করত না। তবে ধর্ম নিয়ে সে বিভিন্ন পরামর্শ দিত। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরয়নি সে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে তার গভীর ধারণা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সে বিভিন্নজনের বক্তব্য শোনাত। আর এক আধিকারিক বলেন, এরাজ্যের জঙ্গি সংগঠনের জাল বিস্তারের মাস্টারমাইন্ড সালাউদ্দিন সালেহা। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর থেকে দেশের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা তার খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। মাঝে বেশ কয়েকদিন সে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে এদেশে সে আত্মগোপন করে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা তার বেশকিছু অডিও ক্লিপিংস পেয়েছে। বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সে সংগঠনের সদস্যদের চাঙ্গা করতে বার্তা দিয়েছে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও তার অবস্থান দু’দেশের গোয়েন্দারা জানতে পারেনি।