দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার নদীয়ার নবদ্বীপ থানার মোল্লাপাড়া থেকে ‘হাবাগোবা’ শেখ হারেজকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। হারেজ যে জঙ্গি তা বিশ্বাস হয়নি অনেকের। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হারেজের উপরই জম্মু কশ্মীরে শাহাদত সংগঠনের যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব ছিল। গ্রেপ্তারের পরই তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে বিভিন্ন নথি গোয়েন্দাদের হাতে চলে আসে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়, জম্মু-কাশ্মীরের এই সংগঠনের সদস্যদের নানা নির্দেশ পাঠিয়েছে সে। পাশাপাশি সেখান থেকে যেসব বার্তা এসেছে তা আবার হাত ঘুরে বাংলাদেশে এই সংগঠনের মাথাদের কাছে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালতে তদন্তকারী অফিসার এই মামলার যে কেস ডায়েরি দেখান সেখানে বিষয়টির উল্লেখও আছে। এরপরই অভিযুক্তকে ১৪দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। হারেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শাহাদতের ভূস্বর্গ যোগের একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। তাদের সংগঠনের অনেক মাথা যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও বসে সেই সূত্রও মিলছে। একাধিক টিম ভূ-স্বর্গে গিয়ে অভিযান শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, শাহাদত মডিউলটি অপারেট করছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। যাদের সঙ্গে আল কায়েদার সরাসরি সংযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ভারত ও বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়াই এই সংগঠনের প্রাথমিক কাজ। কিন্তু ভারতজুড়ে নিজেদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করে, পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর, বাংলা হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এক সূত্রে গেঁথেছে এই সংগঠন। এই মডিউলের ‘আমির’ কলেজ ছাত্র হাবিবুল্লার বাড়ি কাঁকসায়। যার বাড়ির একপাশে পানাগড় সেনা ছাউনি। অন্য পাশে বায়ুসেনার এয়ারবেস। তাই কাঁকসার কলেজ ছাত্র গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সমানতালে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাতেও বেশকিছু তথ্য এসেছে।