দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
কেতুগ্রামের কাঁটাড়ি গ্রামের ওই স্কুলের এজন্য একাধিক পুরস্কারও জুটেছে। সরকারি স্কুলগুলিতে যখন পড়ুয়া সংখ্যা কমছে, তখন পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করার পথ দেখাচ্ছে কাঁটাড়ি পূর্বপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকরা বলছেন, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। কেতুগ্রামের কেতুগ্রাম পশ্চিম চক্রের অধীনস্ত কাঁটাড়ি পূর্বপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভবন দ্বিতল। সব মিলিয়ে প্রায় ছ’-সাতটি ঘর রয়েছে। স্কুলে বাগান রয়েছে। সেখানে মিড ডে মিলের জন্য সব্জি চাষ হয়। আর স্কুলের প্রতিটা দেওয়ালে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ পর্যন্ত শ্রেণি পর্যন্ত সব বই ম্যুরালের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পড়ুয়ারা কোনও বই আনতে ভুলে গেলে শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল দেখেই পড়ে নিতে পারবে বাংলা থেকে অঙ্ক, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান সব। স্কুলের বাইরের দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আস্ত একটা ট্রেন। সেই ট্রেনের প্রতিটা কামরায় রয়েছে বিভিন্ন ঋতুর নাম। স্কুলে কম্পিউটার শেখানোর পাশাপাশি রয়েছে সংগ্রহশালা। সেখানে পড়ুয়াদের হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস ঠাঁই পেয়েছে। এসব করা হয়েছে পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য।
স্কুলে বর্তমানে ২১২ জন পড়ুয়াকে পড়ান পাঁচজন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতেই আমাদের এই ভাবনা। এখন পড়ুয়ারা স্কুলে এলে আর বাড়ি ফিরতে চায় না। ২০১২ সালে কেতুগ্রাম পশ্চিম চক্র থেকে স্কুলটি নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায়। তারপরের বছর বর্ধমান জেলায় প্রথম হয়ে রাজ্যে শিশুমিত্র স্কুল হিসাবে পুরস্কার জোটে ওই স্কুলের। ২০১৬ সালে বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে উৎকর্ষ পুরস্কার পায়। ২০১৭ সালেও কেতুগ্রাম পশ্চিম চক্রে প্রথম স্থান অধিকার করে স্কুলটি। ওই বছরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ কামারুজ্জামান শিক্ষারত্ন সম্মান পান মুখ্যমন্ত্রীর থেকে। ২০১৮ সালেও ওই স্কুল পুরস্কার পায়। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় একটা প্রাথমিক স্কুল যে এমন ভাবে মডেল হয়ে উঠতে পারে, কাটোয়া মহকুমার বহু স্কুলকে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কাঁটাড়ি পূর্বপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।