দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার আধিকারিক (ডিএসপি) শিল্পী পাল বলেন, বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচার আটকানো গিয়েছে। এটা পুলিসের বড়ো সাফল্য। পাচারের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাঁজা পাচারের বিভিন্ন দিক আমরা খতিয়ে দেখছি।
মণিপুরের গাঁজার সরবরাহ কমতেই ওড়িশার গাঁজা বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। কারণ, বর্তমানে ওড়িশা থেকেই সরাসরি গাঁজা দক্ষিণবঙ্গে আনা হচ্ছে। মূলত নবদ্বীপের রুট ধরে নদীয়ায় ঢুকছে এই মাদকদ্রব্য। মাদক পাচারকারীদের গন্তব্য সীমান্তের ব্লক করিমপুর। পূর্ব বর্ধমান দিয়ে মাদকদ্রব্য আনা হচ্ছে। এর আগে বহুবার নদীয়া জেলা বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পুরোটাই আসছে ওড়িশা থেকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কৃষ্ণনগর দিয়ে জেলাতে গাঁজা ঢোকার খবর আগে থেকেই পুলিসের কাছে ছিল। সেই মতো আগাম ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল পুলিস। গাড়ির নম্বর নিয়ে একটু বিভ্রান্তি হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযানে সাফল্য আসে। মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সাধারণ ফল বোঝাই গাড়িতেই সেই গাঁজা আনা হচ্ছিল।
পুলিসের এক অফিসার জানান, ওড়িশায় থাকাকালীন গাড়িটি সেখানকার নম্বর ব্যবহার করেছিল। কিন্তু বাংলার ঢোকার পর গাড়িটি নম্বর প্লেট বদলে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। শুধু তাই নয়, ফলের গাড়ির পিছনের অংশে যেখানে সামগ্রী রাখা হয় সেখানেই বিশেষ কায়দায় গাঁজা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পিছনের অংশের ঠিক নিচে একটি পাটাতন দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল গাঁজা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিল না। শনিবার প্রথমে ইনফর্মার গাড়িকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর পরিমাণ গাঁজা।
চলতি মাসের কয়েক সপ্তাহ আগে কোতোয়ালি থানার জাহাঙ্গীরপুরের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিস। তখনও গাড়ির চালক করিমপুরে এক ব্যক্তিকে গাঁজা হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। শুক্রবার রাতেও করিমপুর থানার পাট্টাবুকা এলাকায় একটি ফলের গাড়ি থেকে ১৫০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তাই গাঁজা পাচারে বারবার করিমপুরের নাম উঠে আসায় উদ্বেগ বাড়ছে পুলিস মহলেও।