দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
২০০৮ সালে চিনপাই লেবার কন্ট্রাক্ট ও কন্সট্রাকশন সোসাইটি তৈরি হয়। মূলত, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ী শ্রমিক, কর্মীদের নিয়োগ এই সমিতির মাধ্যমেই হতো। আর তা থেকে কমিশন বাবদ সমিতির নিজস্ব তহবিলে মোটা টাকা আসত। এই মুহূর্তে প্রায় ৬৩০ জন শ্রমিকের কমিশন থেকে মাসিক ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় হয়। সমিতিতে এখন সদস্য সংখ্যা ৫০। তাঁদের একাংশের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, গত ১৪ বছর ধরে ভোট হয়নি। একই পদে দীর্ঘবছর ধরে রয়ে গিয়েছেন ভোলাবাবু। আর অডিট হয়নি ১১ বছর। এরপরই সদস্যদের একাংশ অভিযোগ তুলতে থাকেন, তৎকালীন সভাপতি, সম্পাদক বহু টাকা তছনছ করেছেন। তাঁরা বার বার উর্ধ্বতন দপ্তরে চিঠি লিখে অডিট করার অনুরোধ জানান। সেই ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্ত শুরু করে সমবায় সমিতির জেলা দপ্তর। বিভিন্ন ধাপে অডিট হয়। তাতে দেখা যায়, বিগত ১১ বছরের মধ্যে ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার কোনও হিসেব নেই। যেসব চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে বেতন দেওয়া হয়েছে তার ভাউচার নেই। এ সবকিছু তৎকালীন সম্পাদক ভোলাবাবুর গোচরেই হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কারণে কয়েকমাস আগেই তাঁকে ও বোর্ডের আরও এক সদস্যকে শোকজ করা হয় বলে জানা যায়। কিন্তু কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু এখন সমবায়ের অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করায় চাপের মুখে রাজ্যের কো-অপারেটিভ সোসাইটির রেজিস্ট্রারকে আইনি পদক্ষেপ করতে চিঠি দিয়েছেন বীরভূম রেঞ্জের আধিকারিক প্রসেনজিৎ দে। যদিও এই নিয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। ভোলাবাবুকে বহুবার ফোন করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি। এমনিতে ভোলাবাবুর বিরুদ্ধে দলের অনেকেই নানা সময়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। আর্থিক কেলেঙ্কারি, টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়া এমন নানা অভিযোগ জমা পড়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছেও। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতির পদ থেকে ভোলাবাবুকে সরিয়ে দেয় উচ্চ নেতৃত্ব। এমনকী এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে তিনি ভোট করিয়েছেন বলেও দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনিতেই দলে তাঁর ক্ষমতা একেবারেই খর্ব হয়ে গিয়েছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে। সমবায়ের দুই সদস্য শ্যামাপদ দাস, প্রফুল্ল ঘোষ বলেন, আমরা তো বলছি ১০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছেন উনি। কোনও অডিট করেননি, ভোট করাননি। পদে নিজেদের লোকজনকে বসিয়ে এখনও একইভাবে সমবায়টাকে করেকম্মে খাওয়ার জায়গা বানিয়ে তুলেছেন।