উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের বগদৌড়া গ্রাম সংলগ্ন বোলপুর-লাভপুর যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি সিমেন্টের ইট ও পেভার ব্লক তৈরির কারখানা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেই কারখানার নানা নির্মাণ সামগ্রী ও পেভার ব্লক গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাজুড়ে পড়ে থাকে। এছাড়াও মালবাহী গাড়ি ওজন করার যন্ত্রটিও তৈরি করা হয়েছে রাস্তার পাশেই। ফলে ওই অংশের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় অনেকেই জখম হয়েছেন, পাশাপাশি মৃত্যুও হয়েছে একাধিকজনের। এছাড়াও ওই এলাকায় একটি সেচ খালও বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রাস্তার জমি দখল করে না রেখে সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানানো হয় গ্রামবাসীদের তরফে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের তরফে নির্দেশিকা দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাই রাস্তা দখলমুক্ত করতে ও নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে শুক্রবার ওই ফ্যাক্টরির সামনে বোলপুর-লাভপুর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সাত সকালেই পথ অবরোধ হওয়ায় দুই দিকেই যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। ওই কোম্পানির মালিকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন অবরোধকারী ও পুলিস আধিকারিকরা। পরে রাস্তার ধার থেকে মজুত করে রাখা পেভার ব্লক সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। তারপরেই পথ অবরোধ উঠে যায়। জানা গিয়েছে রাস্তার পাশে কতটা জমি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন তা মেপে দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
অবরোধকারী শুভম পাল, সুজিত বাগদি, পিউ মণ্ডলরা বলেন, এখানে এইভাবে রাস্তার জমি দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ও ইট ফেলে রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের গ্রামের একই পরিবারের বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই ভাবে কারও কথা না শুনে এমনভাবেই সামগ্রী মজুত করা হচ্ছে। তাই আমরা এদিন বাধ্য হয়েই পথ অবরোধে শামিল হই।
কোম্পানির মালিক অশোক সাউ বলেন, রাস্তার ধারে রাখা পেভার ব্লকগুলি সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্তদপ্তর এসে জমি মাপজোক করার পর বোঝা যাবে রাস্তার জমি কতটা ও আমার মালিকানাধীন জমি কতটা। সেইমতো কাজ করা হবে।