উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
এদিন এক ধার থেকে সেগুলি জেসিবি দিয়ে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা। অনেকে বাধা দিয়ে তাঁদের জায়গায় নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন। প্রশাসনের লোকজন সঙ্গে থাকা ম্যাপ ও আমিন দিয়ে সড়ক মেপে দেখিয়ে দেন। জানা যায়, সড়ক নির্মাণের পর দু’ধারে ৩৩ থেকে ৩৪ ফুট করে ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় কোথাও ২০ ফুট, কোথাও ১২ ফুট, কোথাও আবার তিন ফুট দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিন বড় বড় কোম্পানির শোরুমগুলির সড়ক দখল করে ব্যবসা করা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন।আবার তিনতলা বিশাল বাড়ির সামনে সড়কের জায়গার কেউ দোকানঘর, কেউ বারান্দা, সিঁড়ি ও শেড নির্মাণ করেছেন। প্রশাসন সেগুলি জেসিবি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। অনিতা ভকত নামে এক মহিলা বাড়ির সামনে সড়কের জায়গা দখল করে পাকা দোকানঘর বানিয়ে ব্যবসা করছিলেন। এদিন সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে তিনি হাতজোড় করে বাধা দেন। তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে এখানে রয়েছি। ভুল করে সড়কের জায়গায় পাকা দোকান করে ফেলেছি। বৃহস্পতিবার রাতেই ছেলের বৌভাত হয়েছে। একটু সময় দেওয়া হোক। যদিও প্রশাসন শোনেনি। ভেঙে দেয় অবৈধ নির্মাণ।
এদিনই হকারদের সরানোর প্রতিবাদে মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে সিটু। পরে তাঁরা স্মারকলিপিও জমা দেয়। সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য অমিতাভ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন একমাস হকার উচ্ছেদ বন্ধ থাকবে। তারপরেও উচ্ছেদ অভিযান চলছে কেন? সেইসঙ্গে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি তোলেন তাঁরা। যদিও মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, অবৈধ নির্মাণ আর হকারদের মধ্যে তফাৎ আছে। অবৈধ নির্মাণকারীদের সময় দেওয়ার কোনও কথা ঘোষণা হয়নি। যারা রাস্তার ধারে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে, তাদের জন্য একমাস সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধ নির্মাণ করে ব্যবসা করছে, তারা তো হকার নয়।