কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি বলেন, জেলাজুড়ে হাতির সমস্যা রয়েছে। তাই আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষ আলোর সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাই বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, একসময় পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা পেত ঝাড়গ্রাম। সেই সময় সামান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেন না সাধারণ মানুষ। তবে আজ পরিস্থিতির বদল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলার পরিকাঠামো বদলেছে। আজ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তবে জেলার বহু এলাকায় রাস্তায় আলো না থাকার সমস্যা রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। একইসঙ্গে আলো না থাকায় ক্ষুব্ধ জেলায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা। অপরদিকে, জেলায় হাতির উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে। অন্ধকারে হাতি দেখতে না পাওয়ায় বিপদ ঘটে মাঝে মধ্যেই। তাই তড়িঘড়ি আলো লাগানোর ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
এদিন ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা অসীম সিকদার। তিনি বলেন, রাতে বহু এলাকায় দেখলাম রাস্তায় লাইট নেই। অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া বিপজ্জনক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রতিটি ব্লকেই হাই মাস্ট লাইট লাগানো হবে। প্রতিটি লাইটের জন্য খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকা। বিনপুর-১ ব্লকে ৪টি, বিনপুর-২ ব্লকে ৪টি, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ৪টি , গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে ৪টি, জামবনী ব্লকে ৩টি, ঝাড়গ্রাম ব্লকে ৫টি, নয়াগ্রাম ব্লকে ৫টি ও সাঁকরাইল ব্লকে ৪টি হাই মাস্ট লাইট লাগানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে সোলার লাইট লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকাশ মাহাত বলেন, হাতি আলো দেখলে ভয় পায়। অনেক সময় অন্ধকারে হাতি দাঁড়িয়ে থাকলেও বোঝা যায় না। বিপদ হয়। আলো লাগানো খুব ভালো উদ্যোগ।-ফাইল চিত্র