কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হলদিয়ার দুর্গাচক থানা এলাকার ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের ইনস্টলেশন পয়েন্ট থেকে তিন জেলায় ৭০টি পাম্পে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। ডিলারদের অনেকের নিজস্ব ট্যাঙ্কার আছে। তাঁরা হলদিয়া থেকে নিজেদের ট্যাঙ্কারে তেল পাম্পে নিয়ে যান। কিন্তু, গত ১৫এপ্রিল ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের হলদিয়া ইউনিটের তরফে ওই ডিলারদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, হলদিয়া থেকে পেট্রল, ডিজেল পাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাসোসিয়েশনের ট্যাঙ্কার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু, সংগঠনের ফতোয়া মানা হবে না বলে পাম্প মালিকরা ঠিক করেন। তাঁরা আগের মতোই নিজেদের গাড়িতে তেল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেন।
পাম্প মালিকদের অভিযোগ, হলদিয়া বিপিসিএলের পয়েন্ট থেকে গাড়িতে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে বাধা দিচ্ছে ট্যাঙ্কার সংগঠন। তাঁদের চালক ও হেল্পারদের মারধর করা হচ্ছে। গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে। এনিয়ে তাঁরা বিপিসিএল কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন। কিন্তু, অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। দুর্গাচক থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু, থানা সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। এরপরই বিপিসিএল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তাঁরা জানান, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের ট্যাঙ্কার চালকরা এখন হলদিয়ায় জুলুমবাজি করছে। তাতে সঙ্গ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। হলদিয়া থেকে জ্বালানি পাম্পে যাওয়ার পথে প্রায়ই তেল কাটিং অর্থাৎ, চুরি করে বিক্রির ঘটনা ঘটে। আবার, পাম্পে রওনা দেওয়ার পর মাঝপথে ট্যাঙ্কার হাপিশ হওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। তাছাড়া, ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের গাড়িতে তেল নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের নির্ধারিত ভাড়া মেটাতে হয়। এধরনের ঝক্কি এড়াতে পাম্প মালিকরা নিজেদের ট্যাঙ্কারে তেল সংগ্রহ করেন। কিন্তু, বাধা দিচ্ছে ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিক্রম জানা অবশ্য বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা দিয়ে এসেছি। এখন আমাদের ট্যাঙ্কার এড়িয়ে পাম্প মালিকরা নিজেদের গাড়িতে তেল নিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে হলদিয়ায় যে ২০০ ট্যাঙ্কার আছে তার চালক, খালাসি, মালিকরা কোথায় যাবেন? এটা জীবন জীবিকার বিষয়। সেটাই পাম্প মালিকদের বলা হচ্ছে।
রামনগর থানার ঠিকরার পাম্প মালিক তমাল কুণ্ডু বলেন, হলদিয়ায় আমার গাড়ি গেলেই ঝামেলা করা হচ্ছে। ড্রাইভার, হেল্পারকে মারধর করছে। আমরা সকলেই এই সমস্যার মধ্যে পড়েছি। দুর্গাচক থানার পুলিস একেবারে সহযোগিতা করেনি। তাই জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিস সুপার আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন।আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি চন্দন দে বলেন, ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন ও ডিলারদের মধ্যে এই ঝামেলায় আমাদের সংগঠন যুক্ত নয়। এটা ওদের নিজেদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব।