কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পরিষ্কার রাখতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একসময় সকাল হলেই বাসিন্দারা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঠে ছুটতেন। এখন প্রতিটি বাড়িতেই শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাজার এলাকায় শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামের রাস্তা পরিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার দু’পাশে আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। নোংরা-আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে রাস্তায় রাখা হয়। তাতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ওই গ্রামগুলিতেও শহরের মতোই সাফাইকর্মীরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন। কিছু গ্রামে অবশ্য আবর্জনা সংগ্রহের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। এতদিন গ্রামের বাসিন্দাদের এজন্য টাকা দিতে হতো না। কাজ আরও ভালোভাবে করার জন্যই অল্প কিছু টাকা নেওয়া হবে। কয়েকটি পঞ্চায়েত পচনশীল পদার্থ থেকে সার তৈরি করছে। মেমারি-২ ব্লকের একটি পঞ্চায়েত এই কাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। সার বিক্রি করে ওই পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল বাড়িয়েছে। প্লাস্টিক আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তা গলিয়ে বিক্রি হচ্ছে। জেলার অন্যান্য পঞ্চায়েতগুলিকেও এধরনের কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, কুড়মুন সহ কয়েকটি পঞ্চায়েত ভালোই কাজ করছে। তবে গ্রামের বাসিন্দাদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। দূষিত জলে গ্রামের পরিবেশও খারাপ হয়। নোংরা জল পুকুরে পড়ে। সেই জল বাড়ির কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তারফলে নানা ধরনের অসুখ ছড়াচ্ছে। দূষিত জল শোধন করা হবে। তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। সেই কাজও বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে প্রয়োজনে বৈঠক করা হবে। আগেও কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আমরা নিজেরাও গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রাম পরিষ্কার থাকলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। নালা, নদর্মাগুলিও সংস্কারে জোর দেওয়া হবে। প্রতীকী চিত্র