কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
ইস্কোর ঠিকা শ্রমিক ছিলেন দিলীপ। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রবিবার। আমরা একজন চেস্ট স্পেশালিস্টের অধীনেই রোগীকে ভর্তি করতে চেয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে বলা হয়, তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। আপনাদের রোগীকে তাঁর অধীনেই ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু একদিন পরও সেই চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার এনিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। মৃতের আত্মীয় আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার আমরা যখন রোগীকে রেফার করাতে চাই, তখন তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে ভেন্টিলেশনে দিয়ে দেয়। যে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম তিনি মঙ্গলবার আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নিজে বলেছেন, তিনদিন তিনি ছুটিতে ছিলেন। তাহলে কেন আমাদের মিথ্যা বলে রোগীকে ভর্তি করানো হল। যার অর্থ, বিনা চিকিৎসায় আমাদের রোগী মারা গিয়েছেন।
দিলীপবাবুর এক ছেলে ও এক মেয়ে। গত ১৭ জুন, সোমবার একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। নানা অনিয়মে সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন বলে পরিবারের দাবি। রবিবার তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে পরিবার পরিজন তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল আর ঘর ছোটাছুটি করছেন। বাবাকে হারিয়ে এদিন রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে সদ্য বিবাহিত মেয়ে পুজা পাসিকে। তাঁকে সামলাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পিঙ্কি পাসি। তিনি মৃতের ভাগ্নি। এদিন ওই হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হতে এলে তাঁর কাছে ছুটে গিয়ে পিঙ্কি-পুজারা বলেন, এখানে ভর্তি করবেন না। এখানে ডাক্তার না থাকলেও রোগী ভর্তি করে নেয়। আপনার রোগী মারা যাবে। এলাকায় দিলীপবাবু অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। নাকরাসোতা গ্রামের বহু মানুষ এদিন দিনভর হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। স্থানীয় কাউন্সিলার অনুপ মাজিও হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। -নিজস্ব চিত্র