কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
গত দু’ সপ্তাহ থেকে ফের সব্জির দাম বাড়তে শুরু করেছে। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে সব্জির টান মেটায় আলু। গত দু’ দিনে সেই আলুর দাম কেজিতে সাত টাকা বেড়েছে। বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে হাইব্রিড পোখরাজ ৩২-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। জ্যোতি, চন্দ্রমুখী সাধারণ মানুষের প্রায় নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। আষাঢ় মাসে পটলের দাম সর্বনিম্ন হয়। এবার আষাঢ়ে পটল ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে ৪০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়শ ৪০, পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে বুধবার। বেগুনের দাম সেঞ্চুরির আশপাশে ঘুরছে। এদিন ৮৫ টাকা কেজি দরে বেগুন বিকিয়েছে। আদা, রসুনের দাম দুশো টাকার নীচে নেমে এসেছিল। এক সপ্তাহে আদা, রসুনের দাম ফের আড়াইশো টাকা কেজিতে উঠে এসেছে। গরমে উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় লঙ্কার ঝাঁজও বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে মিষ্টি কুমড়ো বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা কেজি দরে। বুধবার তার দাম ১৮-২০ টাকা ছুঁয়েছে। সব্জির বাজারে একমাত্র টমেটোর দাম কমেছে। দিন কয়েক আগে কেজি প্রতি টমেটোর দাম ছিল দুশো টাকার উপর। বুধবার ১২০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি হয়েছে।
বহরমপুর স্বর্ণময়ী বাজারের সব্জি বিক্রেতা দীনেশ মণ্ডল বলেন, সব্জির বাজারে খদ্দের কম। যাঁরা আসছেন তাঁরাও সব্জিতে কাটছাট করছেন। খুচরো বিক্রেতাদের আয় কমেছে। বড়ঞার সব্জি চাষি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বেগুন, লঙ্কা, পটল, ঝিঙের গাছ টিকিয়ে রাখায় দায় হয়েছে। রোজ দু’ বেলা পরিচর্যা করতে হচ্ছে। তাতেও গাছ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বহরমপুর স্বর্ণময়ী বাজারে বাজার করতে এসেছিলেন বিবেকানন্দ পল্লির রাজীব শীল। রাজীববাবু বলেন, এই পরিস্থিতি চললে সাধারণ মানুষকে সব্জি খাওয়া ভুলতে হবে। পাইকারি ও খুচরো বাজারে সরকারি নজরদারি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।