কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জামাইষষ্ঠীর পর থেকে শাকসব্জির দাম কমার লক্ষণ নেই। দাম বেড়ে চলায় নিম্ন মধ্যবিত্তের বাজার করতে নাভিশ্বাস উঠছে। জ্যোতি আলুর দাম ১৮ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়ে গিয়েছে। চন্দ্রমুখী আলু ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। আরামবাগের সদরঘাট বাজার, পুরসভা মার্কেটে টমেটো, বেগুন, উচ্ছে, বরবটি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১০০ গ্রাম লঙ্কার দাম ১৫ টাকা। ঝিঙে, মূলো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁচ আম ৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শহরের বাজারে ক্রেতাদের তেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা অল্প পরিমাণ শাকসব্জি মজুত করছেন। প্রকৃতিক খামখেয়ালিপনায় শাকসব্জি নষ্ট হওয়ায় বাজারে জোগান কমে গিয়েছে। এর জেরে শাকসব্জির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে বলে বিক্রেতারা অনেকে মনে করছেন।
বৃহস্পতিবার পুরসভা মার্কেটে দেখা গেল, যৎসামান্য কিছু সব্জি কিনে ক্রেতারা বাড়িমুখো হচ্ছেন। সব্জি ব্যবসায়ী লতিকা আদক বলেন, জামাইষষ্ঠীর পর দাম কিছুটা কমে যায়। এবার জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে। চড়া দামের কারণে টম্যাটো, বেগুন, কচু, উচ্ছে বিক্রেতারা হাত দিচ্ছে না। তবে পটলের দাম তুলনামূলকভাবে কম। সকাল ৯টার মধ্যে বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সদরঘাট বাজার সাধারণত ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট থাকে। সেখানেও এখন ভিড় থাকছে না।
গৌরহাটি মোড়ের সব্জি বিক্রেতা রামপ্রসাদ দাস বলেন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, টম্যাটো, বেগুন, সজনে ডাঁটা ক্রেতারা রোজই কিনতেন। চড়া দামের কারণে কেনাকাটা তলানিতে এসে ঠেকেছে। সদরঘাট বাজারের সব্জি বিক্রেতা মানস কুণ্ডু বলেন, নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বেলায়, না হলে সন্ধ্যার দিকে বাজার করছেন। সেসময় কিছুটা কম দামে সব্জি বিক্রি করে দেওয়া হয়। খানাকুল বাজারে এদিন টম্যাটো ৮০, বেগুন ৭০, কচু ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মেফুজ মল্লিক বলেন, দু’সপ্তাহ আগে ২৫ টাকা কেজি দরে টমেটো কিনেছি। আজ ৭০ টাকা দরে কিনলাম। কচু, ঢ্যাঁড়শ, বেগুন হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত বলেন, টম্যাটো, ঝিঙে, বেগুনে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। কাঁচালঙ্কা কতটা কিনব-তা দু’বার ভাবতে হচ্ছে।