কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বুধবার রামপুরহাটের পুলিস-প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে রাতের মধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই পুরসভার কাউন্সিলার, পুলিস, বিএলএলআরওকে নিয়ে জবরদখল সরাতে জেসিবি নিয়ে অভিযানে নামেন মহকুমা শাসক। প্রথমে ছফুঁকো এলাকায় থাকা টিনের ফলের দোকানগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর রাস্তার দু’ধারের অস্থায়ী দোকান ও স্থায়ী দোকানের বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। এরই মধ্যে সিউড়িতে জেলার মিটিংয়ে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ছফুঁকো এলাকায় এসডিওর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী দোকানদাররা। তাঁদের দাবি, কোনও নোটিস ছাড়াই সরানো হল। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মাইকিং করা হয়েছিল। রাতে মালপত্র বের করতে পারেননি। জেসিবি দিয়ে পুরো দোকান কেন ভাঙা হল? ক্ষতিপূরণ কে দেবে? প্রায় মিনিট দশেক ধরে বিক্ষোভ চলে। যদিও পুলিস-প্রশাসন থেমে থাকেনি। অস্থায়ী দোকান সরানোর অভিযান চলে। সেই সঙ্গে দফায় দফায় বিক্ষোভও চলে। এক দোকানদার সুবল দত্ত বলেন, আমার খাবারের দোকান। রাত ১০টায় মাইকিং করে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু দোকানের কতটা অংশ ভাঙতে হবে নাকি পুরো দোকান কিছুই বলেনি। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পেটে লাথি পড়ে গেল। অস্থায়ী দোকানে মোমো ও ডিম বিক্রি করতেন উমেশ চন্দ্র। তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কিছু বের করতে পারিনি। সব ভেঙে দিল। অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বাইক গ্যারেজের মালিক বলেন, পুরসভায় টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ করে সেই টিনের দোকান ভেঙে দিল। অথচ কয়েকটি পাকা দোকান আছে সেগুলি ভাঙা হল না। এখন কোথায় যাব আমরা?
যদিও পুলিস-প্রশাসন রাজনৈতিক রং না দেখে ওই রাস্তায় জবরদখল করে থাকা তৃণমূল ও সিপিএমের ইউনিয়ন অফিস, একটি ক্লাব সহ বহু দোকান ও স্থায়ী দোকানের বাড়তি অংশ ভেঙে দেয়। বাধা দিতে এলে পুলিস সঞ্জীব মল্লিক নামে সিপিএমের এক কাউন্সিলারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে অভিযান জারি রাখে। দুপুরে পুনর্বাসনের দাবিতে এসডিও অফিসে ডেপুটেশন দেয় সিটু।
মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, মাস চারেক আগেই ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য বলা হয়েছিল। কিছুটা করাও হয়েছিল। মাঝে নির্বাচন চলে আসায় থমকে যায়। তিনি বলেন, সরকারি জায়গা জবরদখল মানা হবে না। রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকানগুলি ভেঙে ফেলা শুরু হয়েছে। স্থায়ী দোকানগুলির ক্ষেত্রে বিএলএলআরওকে বলা হয়েছে, জমির রেকর্ড দেখে রিপোর্ট দিতে। সেই মতো সরে যাওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হবে। তা না হলে সরিয়ে দেওয়া হবে।