দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারত নির্মাণ প্রকল্পে অনেকদিন ধরেই এই এলাকার উপর দিয়ে একটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ হতে চলেছে বলে জানা যায়। এদিন ওই জাতীয় সড়ক নির্মাণকে সামনে রেখে খড়গ্রাম ব্লক মিটিং হলে ওই বৈঠক হয়। সেখানে জেলার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী সুব্রত সাহা, খড়গ্রাম বিধায়ক আশিস মার্জিত, নবগ্রাম বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল, বড়ঞা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার ওসি ও বিডিওরা। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ওই বৈঠক শুরু হয়। চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক খড়গপুর থেকে শুরু হয়ে তা শেষ হবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি ব্লকের মোড়গ্রামে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ৪৪ কিলোমিটার রাস্তা থাকছে। তার মধ্যে খড়গ্রাম ব্লকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও বড়ঞা ব্লকের উপর দিয়ে ২২ কিলোমিটার রাস্তা চলে যাবে। বাকি দুই কিলোমিটার রাস্তা থাকছে নবগ্রাম ব্লকে। এর মধ্যে একটি বড় ব্রিজ ছাড়াও কয়েকটি কার্লভাট ও আন্ডারপাসও তৈরি করা হবে। কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হবে।
জেলা প্রশাসনের এক অফিসার জানান, চাষিদের কাছে যে জমি অধিগ্রহন করা হবে তার ন্যায্য মূল্য দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক জমিদাতাকে একটি করে শংসাপত্রও দেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে এই বৈঠক করা হয়। জমিদাতারা যাতে ভূল না বোঝেন তা বোঝাবেন এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। এবিষয়ে মন্ত্রী সুব্রত বাবু বলেন, এই সড়ক তৈরি হলে যাঁরা খড়গপুর থেকে উত্তরবঙ্গ যাবেন তাঁরা কলকাতাকে এড়িয়ে যেতে পারবেন। এতে রাস্তা অনেক কম হবে। মূল রাস্তার পরিকাঠামো ছয় লেনের হলেও, প্রাথমিকভাবে চার লেনের রাস্তা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই রাস্তা তৈরির জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। যাঁরা জমি দেবেন তাঁদের উপযুক্ত মূল্য দেওয়া হবে। এছাড়াও তাঁদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হবে। যাতে আগামীতে কোনও সুযোগ এলে তাঁরা সেই সুবিধা তাঁরা নিতে পারেন। রাস্তা তৈরি হলে এই এলাকায় ব্যবসার পরিধি বাড়বে। অনেকে বেকারের রোজগারের ব্যবস্থা হবে।
বড়ঞা বিধায়ক বলেন, আমাদের ব্লকের উপর দিয়ে বেশিরভাগ রাস্তায় বিলের উপর দিয়ে যাচ্ছে। কাজেই জমি অধিগ্রহনে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। খড়গ্রাম বিধায়ক আশিস বাবু বলেন, যাতে কোনও সমস্যা না হয় জমি অধিগ্রহনের আগে তাই আমরা চাষিদের কাছে গিয়ে এর গুরুত্ব বোঝাব।