দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
ধুবুলিয়া থানার পুলিসের জালে ধরা পড়া ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের সদস্যকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এদের চুরি-ডাকাতি করার আদপ কায়দা যে কোনো থ্রিলার সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। সেই সিনেমার প্রধান চরিত্রে ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত অপরাধী থাকলেও স্থানীয় কিছু ছেলে সুযোগ পায়। এরা মূলত ইনফরমারের কাজ করে। মোটা টাকার বিনিময়ে এদের নিয়োগ করা হয়।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই ঝাড়খণ্ড গ্যাং সক্রিয় বলে পুলিস আগেই জানতে পেরেছে। এলাকার ছেলেরাই চুরির ঘটনায় মূল হাতিয়ার। হেফাজতে নিয়ে গ্যাংয়ের সদস্যদের ম্যারাথন জেরা করছে পুলিস। তাদের মধ্যে দুজন নদীয়া জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।
তদন্তে উঠে আসছে, প্রথমে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের সদস্য এলাকার ছেলেদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে। তাতে নিজেদের দলেরও কয়েকজন সদস্য থাকে। প্রথমে এলাকার ছেলেদের নিয়ে চুরি কিংবা ডাকাতির টার্গেট ঠিক করা হয়। পরে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় বেশ কয়েকবার রেকি করানো হয়। তার থেকে পাওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই চুরি বা ডাকাতির অপারেশনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়। কোন দিক থেকে, কে কীভাবে আসবে ও চুরির পর পালিয়ে যাবে, তা ঠিক করা হয়।
জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, চুরি করার কয়েকদিন আগে থেকেই এলাকার ছেলের বাড়িতে ঘাপটি মেরে থাকে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের কোনও একজন সদস্য। গ্যাংয়ের অপর কোনও সদস্য আশ্রয় নেয় ওই এলাকারই কোনও হোটেলে। তারপর নির্দিষ্ট রাতে কোনও গাড়ি ছাড়াই বিভিন্ন দিক থেকে আসে গ্যাংয়ের সদস্যরা। কেউ আসে ট্রেনে, কেউ বাসে, কেউ আবার লরিতে। পুলিসের নজর এড়াতেই যাওয়া-আসার কোনো নির্দিষ্ট রুট ব্যবহার করে না দুষ্কৃতীরা। কারণ এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
তারপর গভীর রাতে চলে মূল অপারেশন। নির্দিষ্ট জায়গায় হানা দেয় তারা। বাইরে থেকে পাহারা দেয় এলাকার ছেলেরা। আর ঘরের ভিতরে ভল্ট কিংবা আলমারি ভাঙে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ে সদস্যরা। কাজের শেষে একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়াও বারণ। এলোমেলো ভাবে যে যার নিজের মতো করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েকদিন এলাকার ওই ছেলেদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখে না ঝাড়খণ্ড গ্যাং। তার মানে এই নয় যে, বখরা পাবে না। যথা সময়ে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে টাকা চলে আসে।