দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ মাঠে সভা হবে। ওই মাঠে ৩০হাজার মানুষ ধরতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সভায় এত ভিড় হবে যে অনেকেই মাঠে ঢুকতে পারবেন না। সেজন্য তিনদিকের বাইপাশে তিনটি বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। এছাড়াও বাজারে আরও দু’টি বড় স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। মাঠ থেকে ‘শান্তিকুঞ্জ’ যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ড্রপগেট বসিয়েছে পুলিস। সেই গেটে নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। এছাড়াও উল্টোদিক থেকে শান্তিকুঞ্জে আসার রাস্তাতেও পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ মিছিলে আসা লোকজন কোনওভাবেই শান্তিকুঞ্জের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না।
শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিস সুপার অমরনাথ কে সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসের পদস্থ অফিসাররা কাঁথিতে ছিলেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করে দেন এসপি। এদিন সভাস্থল পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সকালে আরও এক দফা চেকিং হবে। সভায় আসার জন্য জেলায় সাড়ে সাতশো বাস বুক করা হয়েছে। এছাড়াও দীঘা ডিপো থেকে বেশকিছু এসবিএসটিসি বাস নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর ইউনিফায়েড বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কনভেনার শিবপ্রসাদ বেরা বলেন, রুটের বাস নিলেও যাতে যাত্রী দুর্ভোগ না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার কাঁথিতে সভাস্থল ঘুরে দেখেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, সৌমেন মহাপাত্র, তরুণ মাইতি, জ্যোতির্ময় কর এবং উত্তম বারিক প্রমুখ। কুণালবাবু বলেন, কাঁথির সবচেয়ে বড় মাঠে সভা করবেন অভিষেক। এই সভা নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। কাঁথি এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষজনই মাঠ ভরিয়ে দেবেন। জেলার অন্য প্রান্ত থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা কীভাবে মাঠ পর্যন্ত পৌঁছবেন, সেটা নিয়েই ভাবছি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শা থেকে এখানকার দলবদলু নেতা অভিষেককেই আক্রমণ করেন। তাঁকে আক্রমণ না করলে তাঁদের ভাত হজম হয় না। তাই শনিবারের সভায় তিনি কী বলবেন, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। একটা নজিরবিহীন সভা হবে।